লোয়া মামলায় সুপ্রিম রায়েকে স্বাগত জানালো বিজেপি, শোকের দিন বলল কংগ্রেস

লখনউ ও নয়াদিল্লি, ১৯ এপ্রিল (হি.স.) : সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠনের আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়াকে স্বাগত জানালো বিজেপি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নিন্দায় মুখর হয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, ‘এই রায় ফের একবার কংগ্রেসের মুখোশ খুলে দিয়েছে। দেশের জনগণের কাছে রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। জনগণের মনে প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক মানসিকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল তারা। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাই।’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই সুর মিলিয়েছেন বিজেপির আর এক নেতা সম্বিত পাত্র। এদিন তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যারা বিচারব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি করেছে তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছে।’ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘দলের (বিজেপি) বর্ষীয়ান নেতাদের কালিমালিপ্ত করার যে প্রচেষ্টা হয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বিচারব্যবস্থার পরিসরে টেনে আনা উচিত নয়।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফ থেকে রণদীপ সিং সুরেজওয়ালা জানিয়েছেন, এই রায় আজকের দিনটিকে ভারতীয় ইতিহাসে শোকের দিন হিসেবে চিহ্নিত করে রাখল। এই রায়ে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গরমিল ছিল। এমনকি আক্রান্তদের নাম রেকর্ড করার ক্ষেত্রেও অসঙ্গতি ছিল। বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ জানিয়েছেন, এই রায়ে বহু মানুষকে নিরাশ করেছে। কিন্তু এটা সুপ্রিম কোর্ট। আর সুপ্রিম কোর্ট যখন রায় দিয়েছে তখন তা আমাদের মেনে নেওয়া এবং শ্রদ্ধা করা উচিত।
প্রাক্তন অ্যার্টনি জেনারেল মুকুল রোহাটগি জানিয়েছেন, আইনের মানদণ্ডের নিরিখে পিটিশনটি অযৌক্তিক। বর্তমান সরকারের বর্ষীয়ান কিছু নেতাকে আক্রমণ করার জন্যই এই পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। পিটিশনের মধ্যে জনস্বার্থ ছিল না। ব্যক্তি স্বার্থ জড়িয়ে ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *