নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ এপ্রিল৷ ৷ শুক্রবার সকালে আচমকা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুনরায় জিবি হাসপাতালে পরিদর্শনে গেলেন৷ পরিষেবা নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিলেন৷
শুক্রবার সকালে কোন আধিকারিক কিংবা কর্মকর্তাদের খবর না দিয়েই শুধুমাত্র কয়েকজন দেহরক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে আচমকা রাজ্যের প্রধান রেফারেন্স জিবি তথা আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজে হাজির হন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ৷
তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করেও কোন স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে প্রথম কথা বলেননি৷ তিনি সরাসরি রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনদের সাথে কথা বলা শুরু করেন৷ ওয়ার্ড গুলিতে ঢুকে রোগীদের পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ তার এই পর্যবেক্ষন দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ প্রথম ২০ মিনিটে তিনি ঝড়ো গতিতে ওয়ার্ডের চিকিৎসক কক্ষ, সেবকা কক্ষ এমনকি শৌচালয়ও ঢুকে যান৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জিবি হাসপাতালে পরিদর্শনের খবরটি ছড়িয়ে পরতেই সমস্ত চিকিৎসকরা ছুটে আসতে থাকেন৷ ছুটে আসেন সুপার নিজেও৷ যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সুপার ভিন্ন অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও চিকিৎসকদের নিজ নিজ কাজে চলে যেতে বলেন৷ এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী আউটডোর বিভাগ এবং ইমারজেন্সিতেও যান৷ ইমারজেন্সিতে রাতে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলনে তাঁর খোঁজ খবর নেন৷
খবর পেয়ে ছুটে যান সাংবাদিকরাও৷ সাংবাদিকদের প্রশ্ণের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশেষ কিছু বলতে চাননি৷ তবে তিনি বলেন, হাসপাতালে এসে সাধারণ মানুষ যাতে পরিষেবা পায় তা সুনিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য৷ সবাইকে জানিয়ে এলে প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝা যায় না৷ সাধারন মানুষ আদৌ্য পরিষেবা পাচ্ছে কিনা তা বোঝা প্রয়োজন ছিল৷ তিনি বলেন, পূর্বের কর্ম সংসৃকতি পরিবর্তন হচ্ছে৷ তবে সবটা পাল্টে গেছে, সংস্কার হয়ে গেছে এমনটা নয়৷ এনিয়ে ৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ঝটিকা সফরে জিবি হাসপাতালে গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ৷ তার উপস্থিতিতে চিকিৎসক, সেবিকা সহ সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে৷
2018-04-14