নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ এপ্রিল৷৷ ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অসমের চোরাইবাড়ি এলাকা থেকে গাড়ি চুরি করে পালিয়ে শেষরক্ষা হয়নি চোরের৷ বাজারিছড়া পুলিশের তাৎক্ষনিক অভিযানে হাতিখিরা এলাকায় বমাল ধরা পড়ে গিয়ে কৈলাসহরের বাসিন্দা চোরের ঠাঁই হয়েছে করিমঞ্জ জেলা কারাগারে৷
ঘটনা বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ঘটেছে বাজারিছড়া থানার অন্তর্গত চোরাইবাড়ি এলাকার শুকনাছড়া নামের এক জায়গায়৷ বাজারিছড়ার ওসি গৌতম দাসের কাছে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কাজে ধর্মনগেরর বাসিন্দা জনৈক প্রশান্তকুমার নাথ তার স্ত্রী মুন্না নাথকে নিয়ে তাদের টিআর ০৫ বি ০৫৫০ নম্বরের অ্যাল্টো এলএক্সআই কারে করে পাথারকান্দি আসছিলেন৷ বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ তারা চোরাইবাড়ি এলাকার শুকনাছড়ার আট নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে খানিক সময় বিশ্রাম করতে লাগোয়া ছোট্ট ধাবায় ঢোকেন৷ সেখানে সামান্য জলপানের অর্ডার দিয়ে পতি-পত্নী চেয়ারে বসেন৷
সেই ধাবায় বসেছিল এক গাড়িচোর৷ সে সুযোগ বোঝে চালকের আসনে বসে তড়িঘড়ি অ্যাল্টোয় স্টার্ট দিয়ে দুরন্ত গতিতে পালিয়ে যায়৷ চোখের সামনে গাড়ি নিয়ে পালাতে দেখে তৎক্ষনাৎ গাড়ি মালিক প্রশান্ত নাথ পুলিশে জানান৷ খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার চারদিকে নাকাবন্দি গড়ে তুলে পুলিশ৷ অবশেষে প্রায় তিন ঘণ্টাজোড়া তল্লাশি অভিযানের অবসান ঘটে সন্ধ্যারাত প্রায় রাত সাতটা নাগাদ৷ চোর সমেত অ্যাল্টো গাড়িকে লোয়াইরপোয়া এলাকার হাতিখিরায় আটক করে পুলিশ৷
উদ্ধার হওয়ার পর গাড়ি তার মালিক প্রশান্ত নাথের হাতে তুলে দিয়ে চোরকে বাজারিছড়া থানার লকআপে রাখা হয়৷ জিজ্ঞাসাবাদে তাকে কৈলাসহর থানা এলাকার শনথৈল গ্রামের জনৈক কুকিল মিত্রের ছেলে রমাকান্ত মিত্র ওরফে সঞ্জয় (৩৩) বলে পরিচয় দিয়েছে৷ আজ শুক্রবার গাড়িচোর সঞ্জয়কে করিমগঞ্জের আদালতে তোলা হয়৷ আদালতের নির্দেশে তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে৷
2018-04-14