নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ এপ্রিল৷৷ পশ্চিম জেলার মজলিশপুর ও খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম৷ দলের পক্ষ থেকে রবিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মজলিশপুর ও খয়েরপুরে সন্ত্রাস অব্যাহত৷ কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব রানীরবাজার বিদ্যামন্দির সুকলের প্রাক্তন শিক্ষক, পার্টি মহকুমা কমিটির সদস্য প্রাক্তন প্রধান এবং রানীরবাজার এলাকায় সর্বজন শ্রদ্ধো ব্যক্তি জগদীশ দে (১৮) এবং উনার অসুস্থ স্ত্রী সহ গোটা পরিবার পাড়া প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় কোন প্রকারে প্রানে বেঁচে যান৷ ঘটনা ৭ এপ্রিল রাত ১১টা নাগাদ৷ রানীরবাজার ঘোড়ামারায় শাসক দলের দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে জগদীশ দে বাড়ীতে আক্রমন সংগটিত করে৷ বাড়ীর লোহার গেইট সাবল দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে দুর্বৃত্তরা৷ প্রচুর ঢিল পাটকেল ছোড়ে বাড়ীর ঘরে৷ দুর্বৃত্তদের হাতে নানা ধরনের অস্ত্র -সস্ত্র ছিল৷ বাড়ীর লোককে প্রচন্ড ভাষায় গালি গালাজ করে এবং প্রানে মারার হুমকি দেওয়া হয়৷ দুসৃকতিকারীদের ছোঁড়া বড় ধরনের ইটের আঘাতে জগদীশে দে’র সস্ত্রী লক্ষ্মী রানী দে মারাত্মকভাবে আহত হন৷ গোটা এলাকা জুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি হয়৷ জগদীশ দে’র বাড়ীতে আক্রমণের ঘটনায় এলাকায় দল মত নির্বিশেষে সমস্ত অংশের নারী পুরুষ এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়৷ ঘটনা এলাকাবাসীই রানীরবাজার থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন৷ এলাকাবাসী আহত লক্ষ্মীরানী দে বে রানীরবাজার গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ এহেন আক্রমনের ঘটনায় গোটা এলাকায় জনগনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷
ঐরাতেই রানীরবাজার ঘোরামারায় সিপিআই(এম) রানীরবাজার লোক্যাল কমিটির সদস্য এবং রানীরবাজার বিদ্যামন্দির বে-সরকারী সুকলের শিক্ষক চিরঞ্জিব দেবের বাড়ীতে শাসক দল বিজেপির দুর্বৃত্তবাহিনী পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ সংগঠিত করে৷ মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে৷ বাড়ীতে চিরঞ্জিব দেব ছিলেন না৷ কিন্তু উনার বৃদ্ধা মা সহ অন্যান্য পরিবারের লোকজন ছিলেন৷ বাড়ীর গেইট, দরজা, জানালা ইত্যাদি ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়৷ দুর্বৃত্তরা গোটা এলাকায়ই ভয়ঙ্কর ত্রাসের সৃষ্টি করা হয়৷ আক্রমনের ফলে চিরঞ্জিব দেবের বৃদ্ধা মা ভীষন অসুস্থ হয়ে পরেন৷ একই এলাকায় ২টি বাড়ীতে আক্রমনের ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে৷ এলাকার নারী পুরুষ সহ সকল অংশের মানুষের মুখে মুখে একটিই প্রশ্ণ এটাই কি চলো পাল্টাই -র নমুনা?
জগদীশ দে’র বাড়ীতে আক্রমনের ঘটনায় এলাকার দল মত নির্বিশেষে সমস্ত অংশের নারী পুরুষ এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়৷ ঘটনা এলাকাবাসীই রানীরবাজার থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন৷ এলাকাবাসী আহত লক্ষ্মীরানী দে’বে রানীরবাজার গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ এহেন আক্রমনের ঘটনায় গোটা এলাকায় জনগনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷
খয়েরপুর বিধানসভা এলাকায়ও জারি রয়েছে শাসক দলের দুর্বৃত্তবাহিনীর গুন্ডাগিরি৷ ৭ই এপ্রিল রাত ১২টা নাগাদ পরিকল্পিত ভাবে খয়েকপুর যাত্রাবাড়ী নিবাসী এলাকায় প্রবীন নাগরিক এবং ঠাকুর শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্রের রাজ্য প্রচারকদের মধ্যে অন্যতম প্রয়াত দীনেশ দেব এবং উনার ছোটভাই শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্র ঠাকুর’র রূত্মিক ধর্মাম্বব্লী স্বদেশ দেবের বাড়ীতে শাসক দলের দুর্বৃত্তরা অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আক্রমণ সংগঠিত করে৷ দুর্বৃত্তরা বাড়ীর ঘরে পর পর ৩টি বোমা ফাটায় এবং ঘরের দরজা জানালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে৷ আক্রমনের ফলে ঘরের ভীর্ষণ ক্ষতি হয়েছে৷ দুুর্বৃত্তবাহিনীর সন্ত্রাসের ফলে গোটা এলাকায় ত্রাস ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ এই বাড়ীতে আক্রমনে এলাকাবাসী স্তম্ভিত৷ পরবর্তী সময়ে পুলিশকে জানালে ঘটনা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়৷ শাসক দলের দুর্বৃত্তরা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দারাবাহিকভাবে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে৷ দুর্বৃত্তবাহিনীর সন্ত্রাসের এলাকায় সমস্ত অংশের মানুষই আতঙ্কে রয়েছেন৷ মানুষ রাতে ভয়ে ঘুমোতেও পারছেন না৷
সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা এবং জিরানীয়া মহকুমা কমিটি শাসক দল বিজেপি’র দুর্বৃত্তদের আক্রমন ও সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচেছ৷ পাটি দৃঢ় ভাবেই রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চায় সন্ত্রাস বন্ধে সরকারের কী কোন ভূমিকা থাকবে না? কোন দায়িত্ব নেই? পার্টি সন্ত্রাস বন্ধে রাজ্য সরকার এবং বিজেপি নেতৃত্বকে কার্যকরা উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছে এবং আক্রমনকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দিতে পুলিশ প্রশাসনকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে দাবি জানাচ্ছে৷
2018-04-09