গোমতী জেলা হাসপাতালে অব্যবস্থা, সুপারকে একহাত নিলেন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ৪ এপ্রিল৷৷ গতকাল রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ ঝটিকা সফরে গোমতী জেলা হাসপাতালে যান রাজ্যের পর্যটন, কৃষি ও পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিনহ রায়৷ জেলা হাসপাতাল গিয়ে তিনি কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন৷ হাসপাতালের বর্তমান পরিষেবা নিয়ে প্রণজিৎবাবু অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ বিশেষ করে ডাক্তার বাবুদের উপস্থিতি, হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও হাসপাতালের ভেতরে থাকা ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপনা ও পরিষেবার বিষয়ে প্রণজিৎবাবুর রোষানলে পড়তে হয় হাসপাতাল সুপার শিব প্রসাদ চক্রবর্তীকে৷ রুগীদের রান্নার ঘর ও ক্যান্টিনের রান্না ঘরের মধ্যে কোন প্রাচীর না থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করেন  সুপারকে৷ তিনি কোন সদত্তর দিতে পারেননি৷ তাছাড়া ক্যান্টিনের নোংরা অবস্থা দেখেও মন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেন৷ প্রণজিৎ বাবুকে পেয়ে রোগীর আত্মিয়রাও একের পর এক অভিযোগ জানাতে থাকেন৷ তাদের অভিযোগ ক্যান্টিনে পঁচা ভাত ও সব্জি দেওয়া হয়৷ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রণজিৎ বাবু বলেন, এমন হলে ভাত না খেয়ে মিডিয়াকে খবর দেবেন এবং জেলা শাসককে পাঠিয়ে আমি ঐ ভাত পরীক্ষা করে দেখতে বলব৷

এর আগে জেলা হাসপাালে চিকিৎসাধীন বিজেপি কর্মী তাপস দেবকে ও প্রণজিৎ বাবু দেখে আসেন৷ তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে ডাক্তারবাবুদের সাথে কথা বলেন৷ প্রণজিৎ বাবু হাসপাতালের আই সি ইউও ঘুরে দেখেন৷ এদিকে তাপস দেবের শয্যার পাশে থাকা অবস্থাতেই হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে যায়৷ অথচ রাস্তায় দক্ষিণ পাশে তখনও বিদ্যুৎ ছিল৷ জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালের বৈদ্যুতিক লাইন সারাই করতে সুপারকে নির্দেশ দেন প্রণজিৎ বাবু৷ হাসপাতালে আয়রন যুক্ত পানীয় জল সরবরাহ হচ্ছে শুনে মন্ত্রী বলেন, আমি আমার এমএলএ ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে এখানে পানীয় জলের সুব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম৷ তখন রতন বাবু, মাধব বাবুরা করতে দেয়নি৷ এখন তো করব, এখন কি বলবেন ওরা? আসলে মানুষের উপকার হোক ওরা তা চায়নি৷ নয়তো ওরা আমার ঐ কাজে বাধা দিল কেন? আমাকে তো ধন্যবাদ জানানো উচিৎ ছিল ওদের৷ বলেন, ওসব কথা থাক৷ এম এসের উদ্দেশ্যে প্রণজিৎ বাবু বলেন, ও সব পাল্টান, কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী সুদীপ বর্মণ গোমতী জেলা হাসপাতালে আসবেন বলে এমএসকে জানিয়ে দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *