নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ নভেম্বর৷৷ রাজ্যে জিপিএস ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করার সাথে সাথেই একে একে বেরিয়ে পড়ছে রাজ্যের ভুয়ো ভোটার
তালিকার কুৎসিত ছবি৷ বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও দের হাতে অ্যানড্রয়েড মোবাইলের অ্যাপস্ তুলে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নিশ্চিত উপস্থিতি চিহ্ণিত করার পর সংশ্লিষ্ট ভোটারকে জিপিএস সিস্টেমে জুড়ে দিতে হবে৷ এতেই বেজায় মুশকিলে পড়েছে রাজনৈতিক দলের একাংশ অনুগত বিএলও৷ কারণ এ যাত্রায় হেরফের করলে চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷ নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষামূলক ভাবে বনমালিপুর বিধানসভা কেন্দ্রকে জিপিএসে নিয়ে আসার কাজ সবে শুরু হয়েছে৷ তাতেই চক্ষু ছানাবড়া সংশ্লিষ্ট সবার৷ কারণ চলতি সামারি রিভিশনের পর আগামী বছরের পাঁচ জানুয়ারি বেরোবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা৷ সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলী নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের াতি সাম্প্রতিক সফরের সময় লিখিত স্মারকলিপিতে জোর দাবি জানিয়েছিল ৫ জানুয়ারিতে (২০১৮) যে তালিকা প্রকাশ হবে তার ভিত্তিতেই ত্রিপুরার নির্বাচন হোক৷ প্রাথমিকভাবে ধর্মনগের ৭৪ জন ভোটারের অবৈধ নামের তালিকা বের হয়ে এসেছে৷ অবাক করার বিষয়, এই ৭৪ জনের ৫০ শতাংশই মারা গেছেন৷ তাঁদের নাম কাটা হয়নি৷ বাকি ৫০ শতাংশ ভোটার বহু আগেই ধর্মনগর ছেড়ে বহিঃরাজ্যে বসবাস করছেন৷ অথচ প্রতিটি নির্বাচনে এঁদের নামে ভোট পড়ছে৷ এখন সম্পূর্ণ বিধানসভা এলাকা জুড়ে কত গড়মিল রয়েছে, তা অতি সত্বর বের হয়ে আসবে৷ বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন জানান, এভাবে শাসকদল এত বছর যাবৎ জয়লাভ করে আসছে৷ তিনি বলেন, এ ধরনের গরমিল রয়েছে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে৷
2017-11-29

