রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে পাক-আমেরিকার সম্পর্কের পারদ চড়ছে

ওয়াশিংটন, ১৯ সেপ্টেম্বর (হি.স.):বুধবার থেকে শুরু হতে চলা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে আমেরিকা ও পাকিস্তানের সম্পর্কের পারদ চড়ছে | ন্যাটো বহির্ভূত অন্যতম বড় মিত্র দেশের মর্যাদা আর পাকিস্তানকে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা | তার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানও |
মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসন হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদী দমনে ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তান ন্যাটো বহির্ভূত অন্যতম বড় মিত্র দেশের যে মর্যাদা পেয়ে আসছে তা আর তাঁদের দেওয়া হবে না । ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের হাবিব ব্যাঙ্ক মার্কিন মুলুকে বন্ধ করে দিয়ে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া বিভিন্ন অনুদান, সফরে নিষেধাজ্ঞা–সহ পাকিস্তানকে জঙ্গি দেশ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এতেই বেজায় চটে পাকিস্তান হুমকি দিয়েছে।
তারই পাল্টা হিসেবে ইসলামাবাদও একটি শক্ত কূটনৈতিক পলিসি তৈরি আছে বলে জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম। পাকিস্তান ঠিক করেছে আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে সীমিত পরিধির মধ্যে বেঁধে ফেলা হবে। সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা কমানো হবে। আফগানিস্তানে আমেরিকাকে সাহায্যের পরিমাণও কমানো হবে। আর আফগানিস্তানের প্রতি মার্কিন নীতির সঙ্গে অসহযোগিতা করা হবে বলে স্ট্র্যাাটেজি নেওয়া হয়েছে। যদিও জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সম্মতি দিলেই এই নীতি কার্যকর হবে। মার্কিন প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ আর কোনও এফ–১৬ যুদ্ধবিমান কিনবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, চিনের দিকে ভবিষ্যতে ঝুঁকবে তাঁরা।
তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে দুই দেশের মতভেদ কাটানোর চেষ্টা করতে পারে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির সঙ্গেও কথা হতে পারে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বলে খবর। সেখানে নিজেদের পক্ষে সাফাই দেবেন আব্বাসি বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *