এখনও থমথমে জম্পুইজলা, পুলিশী দূর্বলতার কারণেই রাজনৈতিক সভায় সংঘর্ষের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১  আগষ্ট৷৷ রাজ্যের উপজাতি প্রধান জম্পুইজলা এবং টাকারজলা এলাকয়া গত চার দিন ধরে চলতি রাজনৈতিক উত্তেজনা বহাল রয়েছে৷ গতকাল এই উত্তেজনা অবশেষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নেয়৷ সংঘর্ষের জেরে মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়ার সভা পন্ড হয়ে যায় জম্পুইজলায়৷ আজও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সমগ্র এলাকায়৷ পুলিশ আজ সন্ধ্যায় গতকালের ঘটনা এবং বর্তমান পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে জানিয়েছে, সিপিআইএম এবং আইপিএফটি কর্মীরা সরাসরি সংঘর্ষে জরিয়ে পড়েছিল গতকাল৷ উভয় দলের বেশ কয়েকজন কর্মী মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন৷ আহতদের মধ্যে সাত জনকে রাজধানীর জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ এছাড়াও প্রচুর আহত হয়েছেন৷ আহতদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন৷ ঘটনাটি ঘটে জম্পুইজলা কলোনিতে৷ ওইদিন জম্পুইজলা কলোনীতে ছয় দফা দাবীতে মিছিল এবং সভার আয়োজন করেছিল সি পি আই এম৷ সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া৷ এর আগেই এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল৷ আইপিএফটির সমর্থকরা জম্পুইজলা বিশালগল সড়ক অবরোদ করে রাখে৷ এবং তারা টাকারজলা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়৷ সিপিআইএমের ক্যাডার অমরেশ দেববর্মা আইপিএফটির কর্মী ধনঞ্জয় দেববর্মাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিল আই পি এফ টি৷ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবীতে দিনভর তারা রাস্তক্কা অবরোধ এবং থানা ঘেরাও করে থাকে৷ যদিও পড়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেয় আইপিএফটি৷ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বেলবাড়ি থেকে আসা আইপিএপটি কর্মীরা জম্পুইজলা কলোনীর পথ ধরে বাড়ি ফিরছিল৷ সেখানেই সভা চলছিল সিপিআইএমের৷ দুই পক্ষের উত্তেজনাকর শ্লোগানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বেধে যায়৷ মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় গোটা এলাকায়৷ পরিস্থিতি পুলিশের বাইরে চলে যায়৷ বানচাল হয়ে যায় সিপিএম সভা৷ নিরাপত্তা রক্ষীরা মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়াকেও কোনক্রমে টি এস আর ক্যাম্পে সরিয়ে নিয়ে যায়৷ আজ সিপিআইএমের জম্পুইজলা মহকুমা সম্পাদক রমেন্দ্র দেববর্মা জানান, আইপিএফটির সমর্থকরা তিন ধনুক, গুলতি নিয়ে তাদের সভার তিন দিক ঘেরাও করে হামলা চালায়৷ পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে সিপিএমের কর্মীরা৷ বর্তমানে আহত চার সিপিএম নেতার চিকিৎসা চলছে টিএসআর সপ্তম বাহিনীর হাসপাতালে৷ ঘটনার পর এলাকায় বিশাল টিএসআর এবং সিপিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে৷ পুলিশি ঢিলেমির ফলেই রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাঁধে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ উঠেছে৷ তবে এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি৷ কিংবা গ্রেপ্তার করলে পরিণতি আরও খারাপ হতেপারে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ বিস্তীর্ণ এলাক জুড়ে সুরক্ষা বাহিনীর টহলদারি চলছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *