আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর : উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঘটনাটি ঘটেছে কৈলাসহর শহরের নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কনকপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কনকপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহী তার নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে অনেকটাই নীচে নেমে পড়ে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীরা একাধিকবার বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের জানালেও দপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর ফলে এলাকাটি ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল।
এরই মধ্যে সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা প্রায় সাতটা নাগাদ কনকপুর দীঘির পাড় সংলগ্ন এলাকায় চলন্ত একটি মালবোঝাই বড় গাড়ি বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের সংস্পর্শে আসে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিতে আগুন লেগে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যেই পুরো গাড়িটি আগুনে পুড়ে যায়। সৌভাগ্যবশত ওই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই।
এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ কনকপুর এলাকার গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে কাঁচেরঘাট–শ্রীনাথপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা অবরোধস্থলে গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে জনবহুল এলাকা থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহী তার অন্যত্র সরাতে হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত বা স্পষ্ট আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।
অবরোধের খবর পেয়ে কৈলাসহর থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশ আধিকারিকরা অবরোধকারীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। আলোচনার পর পুলিশ পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহী তার জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
পুলিশের আশ্বাসের পর দুপুর আড়াইটা নাগাদ অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। তবে অবরোধ চলাকালীন কাঁচেরঘাট–শ্রীনাথপুর সড়কে উভয় পাশে বহু যানবাহন আটকে পড়ে। নিত্যযাত্রী ও পথচারীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

