উদয়পুর, ১৫ অক্টোবর:
উদয়পুরের খিলপাড়া আমতলা এলাকায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাঞ্জলি রায় ও পুলিশের একটি টিম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতার নাম সাবনূর বেগম (২৫)। তিন বছর ছয় মাস আগে খিলপাড়া আমতলার বাসিন্দা হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সামাজিকভাবে তার বিবাহ হয়েছিল। তাদের আড়াই বছরের এক সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দাম্পত্য জীবনে মাঝে মাঝেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগে থাকত।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। এরপর বুধবার সকালে হাসান চৌধুরী দাবি করেন, তার স্ত্রী ঘরের মধ্যে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে মৃতার বাবা সাকিন মিয়া অভিযোগ করেছেন, তার জামাই হাসান নেশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই মেয়েকে মারধর করত। তিনি জানান, বিয়ের সময় সাধ্যমতো সব কিছু দিয়েছিলেন। মেয়েকে বিএড পড়াচ্ছিলেন, চাকরির খোঁজও চলছিল। কিন্তু জামাই প্রায়ই নেশা করে ঝামেলা করত। তাই জামাতাই মেয়েকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ মৃতার বাবার।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে গোমতী জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন এসডিপিও দেবাঞ্জলি রায়। এদিকে, সাবনূর বেগমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া ও চাঞ্চল্য। পুলিশ ইতিমধ্যেই স্বামী হাসান চৌধুরীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই মৃত্যুর পেছনে আত্মহত্যা না খুন—তা নিয়ে এখন তদন্তে নেমেছে উদয়পুর থানা পুলিশ।

