লখনউ / পাটনা / মুম্বই / শ্রীনগর, ৫ অক্টোবরঃ দেশের একাধিক রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
উত্তর প্রদেশে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলি — চন্দৌলি, বারাণসী, জौनপুর ও গাজীপুরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। চন্দৌলির চকিয়া-মুগলসরায় সড়ক সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়ায় প্রশাসনকে বিকল্প রুট খুলতে হয়েছে। কুশীনগর জেলায় বজ্রাঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে অত্যধিক বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।
বিহারে টানা বর্ষণে অবস্থা আরও শোচনীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় বজ্রাঘাত ও বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মুজফ্ফরপুরে ৪ জন ও জাহানাবাদে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
কর্মনাশা নদী ও তার শাখা নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে রোহতাস ও ক্যামুর জেলায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে পাটনা, সারন, সিওয়ান ও গোপালগঞ্জে ব্যাপক জলজটের খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যের একাধিক স্থানে রেল ও বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর আজও রাজ্যে মুষলধারে বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে, আরব সাগরে “শক্তি” নামের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দপ্তর উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে মৎস্যজীবীদের না যাওয়ার কড়া পরামর্শ দিয়েছে। ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মুম্বইয়ে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ঠাণে ও রায়গড় জেলায়ও একই পূর্বাভাস রয়েছে।
মহারাষ্ট্র সরকার জেলা প্রশাসনকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রোটোকল সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছে। তটীয় ও নিচু এলাকাগুলির উপর নজরদারি বৃদ্ধি ও প্রয়োজনে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে আজ সন্ধ্যা থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী বিক्षোভের প্রভাবে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ভারী তুষারপাত এবং জম্মু অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে। কাশ্মীরের অনন্তনাগ, পাহেলগাম, কুলগাম, শোপিয়ান, গুলমার্গ, সোনমার্গ, কুপওয়াড়া-সাধনা দড়া প্রভৃতি স্থানে ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি হয়েছে।
মধ্যম উচ্চতার এলাকাগুলিতে হালকা তুষারপাত, আর সমতল কাশ্মীরে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জম্মু অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও ঘণ্টায় ৬০–৭০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ নাগরিকদের সতর্ক থাকার, সরকারি নির্দেশ মানার ও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। জরুরি অবস্থায় হেল্পলাইন নম্বর ১১২-এ যোগাযোগ করা যাবে।
ল্যান্ডলাইন নম্বর — ০১৯৪-২৫০২২৫৪, ০১৯৪-২৯৫০৭৬৭
মোবাইল নম্বর — ৭০০৬০৬৭৪৫৩, ৯০৮৬১৩১৭৪৬।

