আসাম: ২৫০ কোটির ট্রেডিংএফএক্স কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত রঞ্জিত কাকতির জামিন বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

গুয়াহাটি/নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর: আসামের ডিব্রুগড়ে আলোড়ন ফেলে দেওয়া ২৫০ কোটির ট্রেডিংএফএক্স কেলেঙ্কারি মামলার মূল অভিযুক্ত রঞ্জিত কাকতি-র জামিন বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ে গুয়াহাটি হাই কোর্টের নভেম্বর ২০২৪ সালের আদেশকে খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এর দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের ভিত্তিতে আসামের ডিব্রুগড়ে ঘটে যাওয়া ₹২৫০ কোটির ট্রেডিংএফএক্স কেলেঙ্কারি মামলার মূল অভিযুক্ত রঞ্জিত কাকতির জামিন বাতিল করেছে। মামলায় সিবিআই জানিয়েছিল, কাকতিকে যে ‘ডিফল্ট বেল’ দেওয়া হয়েছিল তা আইনত ভুল ছিল। আদালত পর্যবেক্ষণ করে বলেছে, ইন্ডিয়ান পেনাল কোড থেকে ভারতীয় দণ্ড বিধিতে রূপান্তরের ভুল ব্যাখ্যা করেছিল হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে আইপিসি-র ধারা ৪০৯ এর সমতুল্য ধারা বিএনএস -এ ৩১৬(৫) বিদ্যমান এবং সেই কারণে আইপিসি মোতাবেক অভিযোগের বৈধতা এখনও রয়ে গেছে। রঞ্জিত কাকতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ট্রেডিংএফএক্স নামক পঞ্জি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১.৫ লাখ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ২৫০ কোটিরও বেশি অর্থ প্রতারণা করেছেন এবং ২০২৪ সালে গ্রেফতার হন।

সিবিআই অভিযোগ করেছে, নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করে তাদের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, যা আইনি নিয়ম অনুযায়ী সঠিক। তবে গুয়াহাটি হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত ছিল আইপিসি বিলুপ্ত হওয়ার কারণে ওই ধারা আর প্রযোজ্য নয় এবং অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার যোগ্য। সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে সিবিআই-র পক্ষ নিয়ে রঞ্জিত কাকতির জামিন প্রত্যাহার করেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে সিবিআই আসাম পুলিশের থেকে ৪২টি এফআইআর-এর তদন্তভার গ্রহণ করে এবং বহু চার্জশিট দাখিল করেছে। এই মামলায় এখনও ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরতের দাবিতে তদন্ত চলছে। এই রায় শুধু আর্থিক প্রতারণার মামলায় নয়, বরং নতুন ভারতীয় দণ্ডবিধি প্রয়োগ এবং এর ধারাবাহিকতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ট্রেডিংএফএক্স কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত রঞ্জিত কাকতির প্রতি দেশের নজর এখন আরও বেশি তীক্ষ্ণ হয়ে উঠেছে।