আগস্ট ২০২৫-এ ভারতের শ্রমবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন, বেকারত্ব কমে নারী কর্মসংস্থান বাড়ল: এনএসও রিপোর্ট

নয়াদিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর : আগস্ট ২০২৫-এ ভারতের শ্রমবাজারে ইতিবাচক সংকেত দেখা গেছে। বেকারত্বের হার কমেছে এবং নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার ক্রমবর্ধমান রয়েছে। এই তথ্য উঠে এসেছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও) প্রকাশিত সাম্প্রতিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে -এর রিপোর্টে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মধ্যে সামগ্রিক বেকারত্বের হার আগস্টে কমে ৫.১ শতাংশে এসেছে, যা জুলাইয়ের ৫.২ শতাংশ এবং জুনের ৫.৬ শতাংশের থেকে কম। পুরুষ বেকারত্ব পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে ৫ শতাংশে, যেখানে শহুরে বেকারত্ব জুলাইয়ের ৬.৬ শতাংশ থেকে আগস্টে ৫.৯ শতাংশে কমেছে। গ্রামীণ পুরুষ বেকারত্বও গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪.৫ শতাংশে নামিয়েছে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সামগ্রিক গ্রামীণ বেকারত্ব তিন মাসের ধারাবাহিক পতনের মধ্য দিয়ে মে মাসের ৫.১ শতাংশ থেকে আগস্টে ৪.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এই উন্নতির পাশাপাশি নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণের হার দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের কর্মী জনসংখ্যা অনুপাত আগস্টে ৩২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জুলাইয়ের ৩১.৬ শতাংশ এবং জুনের ৩০.২ শতাংশ থেকে বাড়ছে। গ্রামীণ ও শহুরে উভয় এলাকায় নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে; গ্রামীণ নারীদের ডব্লিউপিআর জুনের ৩৩.৬ শতাংশ থেকে আগস্টে ৩৫.৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, আর শহুরে এলাকায় তা ২২.৯ শতাংশ থেকে ২৩.৮ শতাংশ হয়েছে।

নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার ও ধারাবাহিক বৃদ্ধির পথে রয়েছে, যা আগস্টে ৩৩.৭ শতাংশে পৌঁছেছে, জুনের ৩২ শতাংশের তুলনায়। গ্রামীণ এলাকায় এলএফপিআর বেড়ে ৩৫.২ শতাংশ থেকে ৩৭.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, এবং শহুরে এলাকায় তা ২৫.২ শতাংশ থেকে ২৬.১ শতাংশ হয়েছে। সামগ্রিক কর্মী জনসংখ্যা অনুপাতও একইভাবে বেড়েছে, যা আগস্টে ৫২.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, জুনের ৫১.২ শতাংশের তুলনায়। ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের জন্য সামগ্রিক শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার আগস্টে ৫৫ শতাংশ, যা জুনের ৫৪.২ শতাংশ থেকে বেশি।

জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও) ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মাসিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে প্রকাশ করছে, যা নতুন পদ্ধতি অনুসারে শ্রমবাজারের মূল সূচকসমূহের—বেকারত্ব হার, কর্মী জনসংখ্যা অনুপাত এবং শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার—সঠিক ও সময়োপযোগী তথ্য সরবরাহ করে। আগস্ট ২০২৫ এর রিপোর্টে প্রায় ৫.৯২ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকা থেকে ৩.৭৬ লাখ এবং শহুরে এলাকা থেকে ২.১৫ লাখ ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত।