নয়াদিল্লি, ২৬ মে: সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়পালতি যশবন্ত বর্মার সরকারি বাসভবনে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশে আরটিআই আইনের আওতায় দায়ের এক আবেদন খারিজ করেছে।
এই আরটিআই আবেদনটি করেছিলেন অমৃতপাল সিং খালসা। তিনি ওই রিপোর্টের কপি এবং ভারতের প্রধান বিচারপতির (CJI) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেরিত পত্রের কপি চেয়েছিলেন। ৯ মে সুপ্রিম কোর্টের কেন্দ্রীয় জন তথ্য অফিসার (CPIO) এই আবেদন খারিজ করে দেন।
সুপ্রিম কোর্ট বনাম সুবাস চন্দ্র আগরওয়াল মামলায় স্থির হওয়া আইনগত নীতির উদ্ধৃতি দিয়ে সিপিআইও জানান, উক্ত তথ্য প্রকাশযোগ্য নয়। আরটিআই আইনের ধারা ৮(১)(ই) ও ১১(১)-এর অধীনে এই তথ্য চাওয়া হয়েছিল, যা গোপনীয়তা এবং তৃতীয় পক্ষের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার কথা বলে।
২১ মে তারিখে এক লিখিত জবাবে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ও সিপিআইও আবারও এই তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর দেওয়া “সিপিআইও, সুপ্রিম কোর্ট বনাম সুবাস চন্দ্র আগরওয়াল” রায়ের উল্লেখ করেন, যেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, তথ্য জানার অধিকার ও গোপনীয়তা বজায় রাখার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৪ মার্চ রাতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার সরকারি বাসভবনের একটি ওউটহাউজে আগুন লাগার পর বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ পাওয়া যায়। এরপরই অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেন ভারতের প্রধান বিচারপতি।
ঘটনার সময় বিচারপতি বর্মা দিল্লি হাইকোর্টে কর্মরত ছিলেন। পরে তাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয় এবং তাঁর বিচারিক কার্যাবলি প্রত্যাহার করা হয়।
যদিও দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রাথমিক রিপোর্ট, বিচারপতি বর্মার জবাব ও দিল্লি পুলিশের তোলা ছবি এবং ভিডিও সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল, তবে চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্টটি আজও প্রকাশ করা হয়নি।
2025-05-26

