ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মারে গাঁজা পাচার, উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য চুরাইবাড়ি থানায় গেলেন প্রতিনিধি দল

আগরতলা, ১৬ মে: আগরতলা থেকে গুয়াহাটিতে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে নেশাকারবারিরা ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করেছিলেন। আজ উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য আগরতলা থেকে এক প্রতিনিধি দল ছুটে গিয়েছে চুরাইবাড়ি থানায়। তাঁরা সরজমিনে ট্রান্সফরমার গুলি দেখে ও বিভিন্ন পরীক্ষা করেন।

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের গত ১২ মে সোমবার দুপুরে ত্রিপুরা থেকে গুয়াহাটি পাচারের পথে ট্রান্সফর্মারের ভেতর থেকে ত্রিপুরার চুরাইবাড়ি থানার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল চার কোটি টাকার শুকনো গাঁজা। এতে ইউপি৫৮এটি/১১২৮ নম্বরের একটি লরিতে থাকা দশটি ট্রান্সফর্মারের ভেতর থেকে ৯৬ প্যাকেটে মোট ৯৬০ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়। যার কালোবাজারি মূল্য ছিল আনুমানিক চার কোটি টাকা। সাথে উত্তর প্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা তথা লরি চালক আওদেশ কুমার(৪২) ও সহ চালক প্রমোদ কুমার (৫৯)কে আটক করা হয়েছিল। ট্রান্সফর্মারের সাথে কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

সেই খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখে টিসিইসিএল জেনারেল ম্যানেজার স্বপন দেববর্মা পানিসাগরের ডিজিএম সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে চুরাইবাড়ি থানাতে এসে ট্রান্সফর্মার গুলি সরজমিনে তদন্ত করেন। তখন উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেরেমিয়া ডার্লং সহ থানার ওসি খোকন সাহাও। সরজমিনে পরিদর্শন শেষে টিসিইসিএল এর জেনারেল ম্যানেজার শ্রী দেববর্মা জানান, এই ট্রান্সফর্মার গুলি ইলেকট্রিক কাজে ব্যবহৃত হয়নি। তাছাড়া এই সাইজের ট্রান্সফর্মার ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তর ব্যবহার করে না। তাঁর মতে এই ট্রান্সফর্মার গুলি গাঁজা পাচারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া ট্রান্সফর্মারের সাথে উদ্ধারকৃত কাগজে যে সই রয়েছে সেটিও নকল বলে জানান তিনি।

এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেরেমিয়া ডার্লং জানান, টিসিইসিএল এর তরফে পরবর্তীতে পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তাঁরা জানিয়েছেন ট্রান্সফর্মার গুলি তাঁদের দপ্তরের নয়।তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু তিনি বলেন নি।