নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৮ মার্চ:
এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি টাকা নয় ছয় অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ১২ জন সদস্য লিখিত আকারে রাজের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। খোয়াই জেলাশাসক অফিসের এল.এ বিভাগের কর্মী তীর্থজিৎ দেববর্মা জাতীয় সড়কের পাশে জমি অধিগ্রহনে এই আর্থিক নয় ছয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে ১২ জন সদস্য জানিয়েছেন, তীর্থজিৎ দেববর্মা ওনার স্ত্রীর নামে জমি দেখিয়ে এই আর্থিক কেলেঙ্কারি চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ জমি অধিগ্রহনে খোয়াই মহকুমার (এন এইচ -২০৮) পূর্ব লক্ষীছড়া, মৌজা-তে সার্ভে করার তিনি সেখানে কেলেঙ্কারি করছেন। জমির অধিক মূল্য নির্ধারণ করে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিচ্ছেন। সেখান থেকে কমিশন গুনছেন তীর্থজিৎ দেববর্মা।
আরো অভিযোগ, আগরতলা খোয়াই এন এইচ -২০৮ নং জাতীয় সড়কে তিনি তার স্ত্রীর নামে খাস জায়গাতে নালশ্রেনীর ভূমিতে ৬৫ টি রাবার গাছ রয়েছে বলে দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু নাল শ্রেণীর ভূমিতে কিভাবে রাবার কাজ হয় সেটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একইভাবে খোয়াই মহকুমাতে জমি অধিগ্রহনে এনএইচ -২০৮ সড়কের পাশে থাকা অনেক বেনিফিসারীর সঙ্গে সমঝোতা করে বেশি টাকার বিল বানিয়ে সেখান থেকে কমিশনের টাকা আত্মসাৎ গ্রহণ করেছেন। এভাবে ৫০ থেকে ৬০ জন বেনি ফিসারির কাছ থেকে তিনি কমিশন বাবদ সরকারি অর্থলোপাট করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খোয়াই জেলা শাসকের উদ্যোগে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের আওতাধীন জায়গা এবং জায়গায় থাকা গাছ গাছালি সহ বাড়িঘর এবং দোকানপাট ভাঙ্গার পূর্বে সার্ভে করার জন্য সার্ভাইবার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তীর্থজিৎ দেববর্মাকে। তীর্থজিৎ দেববর্মা সারভাইভার হিসাবে সার্ভে কাজের দায়িত্ব পাওয়ার পর নিষ্ঠা ভাবে কাজের দায়িত্ব পালন করছেন না বলে বুদ্ধিজীবী মহল থেকে অভিযোগের জল্পনা কল্পনা চলছে। কোন চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে আলোচ্য বিষয় একটাই বলে অভিযোগ।
তীর্থজিৎ দেববর্মা সার্ভে করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের মানচিত্রে যেই গাছগাছালিগুলি কাটা হয়েছে সেগুলিকে দ্বিগুন দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ সরকারিভাবে পাইয়ে দেওয়ার সাহায্য করেছে বলে অভিযোগের গুঞ্জন চলছে। আর তার জন্য তিনি নাকি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু তীর্থজিৎ দেববর্মার বিরুদ্ধে আনা জল্পনা কল্পনা অভিযোগের কতটা সততা রয়েছে তা প্রশাসনিকভাবে সুষ্ঠু তদন্তক্রমে আসল সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। তবে এদিকে এখন দেখার বিষয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তীর্থজিৎ দেববর্মার বিরুদ্ধে আনা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।