(Update) বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন ছোট ভাই, চাঞ্চল্য, ধৃত এক

আগরতলা, ১৪ ফেব্রুয়ারি: জায়গা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ধারালো ছুরি দিয়ে ছোট ভাইকো নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বড় ভাই। রোমহর্ষক ওই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ত্রিপুরা। আজ বক্সনগরের রহিমপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে পুলিশ অভিযুক্ত বড়ো ভাইয়ের ছেলে রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, বক্সনগর আর ডি ব্লকের সীমান্তবর্তী গ্রাম রহিমপুরে ৫ নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া নিবাসী রিনা বেগমের বড় পুত্র ইমান হোসেন, তার স্ত্রী জলেখা খাতুন এবং ইমানের ছেলে রাকিব হোসেন তিনজনে মিলে কাকা আমির হোসেনকে(২৫) ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করেন। আমির হোসেন আবার নেশাখোর। প্রায় সময় নেশা খাবার টাকা না থাকলে বাড়িঘরে মা, ছোট ভাই, বড় ভাইকে জ্বালাতন করতেন। প্রায়ই বড় ভাইয়ের স্ত্রী জলাকা খাতুনের সঙ্গে আমির হোসেন ঝগড়া হতো। তাছাড়া, ইমান হোসেনের বাড়ির সামনে এক টুকরো জমি আছে। সেই জমি নেই দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলছে দুই ভাইয়ের মধ্যে। এই জমি ইমানকে না দেবার জন্য মার নিকট চাপ সৃষ্টি হয় করা। আমির মাকে বলেন, ওই জমি ভাইকে দেওয়া যাবে না। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আমির তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী সঙ্গে ঝগড়া হয় পূর্বে অনেকবার। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে মৃতের বোন জানিয়েছেন, গতকাল রাতে বড় ভাই ইমান হোসেনের স্ত্রী সাথে সামান্য বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল ছোট ভাই আমির হোসেনের। তারপর রাতে মার সাথে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন আমির হোসেন। আজ সকালে ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘরের দরজা ভেঙে বড় ভাই ছুরি দিয়ে ছোট ভাইকে আঘাত করে। এমনকি, বড় ভাই আমির হোসেন ও ছেলে, স্ত্রী মিলে তার বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে আমির হোসেন বাঁচার জন্য ঘর থেকে কোনরকমে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুক্ষন দৌড়ানোর পর মাটিতে পড়ে যাওয়াতে বড় ভাই ইমন হোসেন তার ছেলে মিলে তাকে প্রথমে গণপিটুনি করে পরে ছুরির আঘাতেই করে। বড় ভাইয়ের আক্রমণ থেকে পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হল না ছোট ভাইয়ের। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলেও ছুরির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তার। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা বক্সনগরের রহিমপুর পূর্বপাড়া এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে কলমচৌড়া থানার পুলিশ। এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শী ধনু মিয়া জানান, প্রথম অবস্থায় বৌদি এবং ভাতিজা মিলে প্রচন্ড ভাবে আক্রমণ করেন আমির হোসেনকে। আমির হোসেনকে বাঁচাবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ধনু মিয়া। তারপরও রক্ষা করা গেল না আমিরকে। আরো কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রাকিব নাকি ছুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *