বিএমএস-এর দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিবাদ চরমে, এবারে মুখ খুললেন অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১১ ফেব্রুয়ারি:
বিগত কিছুদিন ধরে বিএমএস-এর দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিবাদ চরমে ওঠে। এই দ্বন্দ্বের ফলে গোটা উত্তর জেলা জুড়ে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এমনই পরিস্থিতিতে, অন্য এক স্থান থেকে আসা এক ব্যক্তি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ ও অশালীন মন্তব্য করেন। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আজ সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে ধর্মনগর জেলা কার্যালয়ে এক জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।

এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সভাপতি কাজল দাস, মণ্ডল সভাপতি শ্যামল নাথ, পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান মিতালী দাস সেন, ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু নাথ, জয়জিত শর্মা, ভারতীয় জনতা পার্টির বরিষ্ঠ কার্যকর্তা হারান নাথসহ আরও অনেক বিশিষ্ট নেতৃত্ব।

অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “বি এম এস-এর দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বিবাদের ফলে উত্তর জেলার জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। এরই মধ্যে আমার নাম করে কিছু কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে এবং পত্র-পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় লেখা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি চাইলে বিধানসভার স্পিকার হিসেবে বিধানসভায় বসে বোর্ড কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিন্তু আমি তা করিনি। বরং আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা ও বর্তমান সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্ত অসীম দত্তের বিরুদ্ধে ধর্মনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।”

আইনি ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অধ্যক্ষ জানান, “খুব শীঘ্রই আবারও সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মামলার কাগজপত্র সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে, যাতে প্রকৃত সত্য সবার কাছে স্পষ্ট হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সর্বদা রাজ্যের উন্নয়ন এবং বিশেষ করে ধর্মনগর শহরের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। আজ পর্যন্ত আমি এক টাকাও বেআইনিভাবে উপার্জন করিনি। বরং আমার অধ্যক্ষ তহবিল থেকে গরিব ও দুস্থ পরিবারদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তাই আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপপ্রচার রুখতে তিনি প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *