প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি দ্বারা কর্মদক্ষ যুবশক্তির কর্মসংস্থানে নিরলস কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ ফেব্রুয়ারী: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্গদর্শনে স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি দ্বারা কর্মদক্ষ যুবশক্তির কর্মসংস্থানে নিরলস কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। আজ রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে কেন্দ্রীয় গৃহ ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে রাজ্যের ৩৭ টি দপ্তরে এই নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা।

এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরার জয়েন্ট রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (জিআরবিটি) এর উদ্যোগে ৩৬৯ ফার্মাসিস্ট এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান সহ ৩৭ টি বিভাগে ২,৪৩৭ মাল্টি-টাস্কিং স্টাফের (গ্রুপ-ডি) মধ্যে নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়েছে। মোট, ২,৮০৬টি পদ পূরণ করা হবে, এটি রাজ্যের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তাঁর দাবি, বিজেপি সরকারের আমলে বেকার যুবকদের কোনো পক্ষপাত ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়।

এদিন তিনি আরও বলেন, জিআরবিটি গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদের জন্য প্রার্থীদের পরিষ্কার নিয়োগের সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২৩ সালে ৩৫ টি বিভাগে গ্রুপ-সি-তে ১৯৮০জন প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে এবং তাদলর নিয়োগ করা হচ্ছে। এই ঘটনাটি রাজ্যের ঐতিহাসিক ঘটনা, কারণ রাজ্যের ইতিহাসে এত বড় সংখ্যক গ্রুপ-সি নিয়োগ ঘটেনি।

তাঁর কথায়, রাজ্যের বেকার যুবকদের সমর্থন করার জন্য ত্রিপুরা সরকার পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করেছে। তাছাড়া, ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সার্ভিসের আওতায় তিনটি মডেল ক্যারিয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে রাজ্যে মোট ৯৬টি চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যার ফলে ২০০০-এরও বেশি যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে, রাজ্যে ৪.৭৩ লক্ষ সদস্য সহ ৫২,৬৬০টি স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী (এসএইচজি) এবং ১.৯১ লক্ষ “লাখপতি দিদি” রয়েছে, যাদেরকে ৭৪৬ কোটি টাকার তহবিল দিয়ে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।