নতুন দিল্লি ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫:
মহামারী-পরবর্তী পর্যায়ে বিকাশের গতিকে মজবুত করা এবং স্বীকৃত ক্ষেত্রের সম্প্রসারের ফলে গত কয়েক বছরে ভারতে শ্রম বাজারের সূচকগুলির উল্লেখযোগ্যরকম উন্নতি ঘটেছে। পর্যায়ক্রমিক শ্রমশক্তি সমীক্ষা (পিএলএফ এস) অনুসারে, ভারতে বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ ও শ্রমিক জনসংখ্যার অনুপাত উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। উপরন্তু, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মতো ক্ষেত্রগুলি উচ্চহরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিশাল সম্ভাবনা প্রদান করেছে, যা বিকাশিত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি পূরণের জন্য অপরিহার্য। আজ কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রম বাজারের প্রধান সূচকগুলি হলঃ ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার (ইউআর) ২০১৭-১৮-র ৬ শতাংশ হয় থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৩-২৪-এ ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। ইপিএফ ও-র সদস্য সংখ্যাও দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০১৯- অর্থবর্ষে এই সংখ্যা ছিল ৬১ লক্ষ যা ২০২৪ অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে ১৩১ লক্ষ হয়েছে। চাকরির বাজারের প্রেক্ষিতে সংগঠিত ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি উত্তম ইঙ্গিত দেয়। আরো দেখা গেছে যে, মোট বেতনের যোগফলের প্রায় ৬১ শতাংশ অনুর্ধ ২৯ বছর বয়সীদের থেকে এসেছে যা ইঙ্গিত করে যে সংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন চাকরি যুবকদের কাছে যাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে স্বনিযুক্ত শ্রমিকদের অনুপাত ৫২.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৮.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে যা ক্রমবর্ধমান উদ্যোগী কার্যকলাপ এবং নমনীয় কাজের ব্যবস্থার অগ্রাধিকারকে প্রতিফলিত করে। অনিয়মিত কর্মীদের সংখ্যা ২৪.৯ শতাংশ থেকে কমে ১৯.৮ শতাংশে নেমে আসাও স্ব-নিযুক্তি কর্মসংস্থানের কাঠামোগত রূপের দিকে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
২০২৩ অর্থবর্ষের বার্ষিক শিল্প সমীক্ষার (এ. এস. আই) ফলাফলে দেখা গেছে যে, গত বছরের তুলনায় কর্মসংস্থান ৭ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ২০১৯ অর্থবর্ষের (প্রাক-মহামারী স্তর) তুলনায় ২০২৩ অর্থবর্ষে ২২ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান যুক্ত হয়েছে। মহিলা শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার (এফ. এল. এফ. পি. আর) ২৩.৩ শতাংশ থেকে ৪১.৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এটি গ্রামীণ ও শহুরে সহ বিভিন্ন বিভাগে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে মহিলাদের বর্ধিত অংশগ্রহণের চিত্রকে স্পষ্ট করে ।
আর এক্ষেত্রে, মুদ্রা যোজনা, স্কিল ইন্ডিয়া, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া এবং স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়ার মতো স্কিম উদ্যোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আত্মনির্ভরশীল ও সুস্থায়ী জীবিকার সূত্র নির্মাণে ব্যক্তিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।