কল্যাণপুর, ৭ জানুয়ারি: সাম্প্রতিক অতীতের ভয়াবহ বন্যা জনিত পরিস্থিতি কল্যাণপুরের অন্যতম কৃষি প্রধান এলাকা ঘিলাতলির কৃষিকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল। অধিকাংশ কৃষকরা বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন।
স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল ঘিলাতলীর কৃষি, যা গোটা রাজ্যের মধ্যে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে, আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তো? যদি ঘুরে দাঁড়ায়, কতটা সময় লাগতে পারে বা লাগবে? একদিকে ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্ন ক্রমান্বয়ে চলছিল, আরেক দিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা প্রাণপণে নিজেদের প্রচেষ্টা জারি রাখ ছিলেন, সাথে তো কৃষি দপ্তর ছিলই। চার মাসের ব্যবধান, আজ ঘিলাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খোয়াই নদীর অববাহিকার এক নম্বর ওয়ার্ডের শচীন্দ্র শীল চর এবং সন্নিহিত এলাকাতে কৃষি সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেছে, গোটা এলাকার কৃষি আবারও পুরনো আমেজে। যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবজির সমারোহ। বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন প্রকারের সবজির ব্যাপক উপস্থিতি জানান দিচ্ছে, কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর কৃষি দপ্তর সহ সরকারের সহযোগিতা আবারো ঘিলাতলির কৃষিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় দিলীপ দাস, বিশ্বজিৎ শীল, সুভাষ পাল, সনজিৎ দাস, উত্তম দাস প্রমূখ কৃষকরা দাবি করেছেন, এটা ঠিক এবার ভালো ফসল হয়েছে, সবজি বাজারে বিক্রি করে মোটামুটি ভালো দাম পাওয়া গেছে, তবে বিগত বন্যা যেভাবে ক্ষতি করেছে সেই ক্ষতিটা কাটিয়ে উঠতে আরো সময় লাগবে, এমনটাই দাবি কৃষকদের।
গোটা প্রতিবেদনের সারমর্ম হচ্ছে, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে আবার কিভাবে কৃষিকে ভিত্তি করে সমাজের মূল স্রোতে সঠিকভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে হয়, তার দৃষ্টান্ত রীতিমতো স্থাপন করে দিয়েছে কল্যানপুরের ঘিলাতলির কৃষকরা।