নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে আসা লোকেদের নাগরিকত্ব বজায় থাকবে। আজ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৪:১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই রায় দিয়েছে। আদালত নাগরিকত্ব আইনের ৬এ বহাল রেখেছে।
১ জানুয়ারী ১৯৬৬ থেকে ২৫ মার্চ ১৯৭১ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে আসামে আসা লোকেরা তাদের নাগরিকত্ব বজায় রাখবে। এরপর যারা আসবে তারা অবৈধ হবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অসমের কম জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করে কাট অফ ডেট করা ঠিক ছিল।
পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা তার সিদ্ধান্তে নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। যেখানে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারাকে সাংবিধানিকভাবে বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রায়দান সংরক্ষিত করেছিল। শুনানির সময় কেন্দ্র বলেছিল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। কারণ এই ধরনের লোকেরা গোপনে দেশে প্রবেশ করে। কেন্দ্রের দেওয়া হলফনামায় বলা হয়েছে, এই বিধানের অধীনে ১৭৮৬১ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র বলেছিল, ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে বিদেশী ট্রাইব্যুনালের আদেশে ৩২৩৮১ জন বিদেশীকে সনাক্ত করা হয়েছিল।
আদালত প্রশ্ন করেছিল, ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালের পর অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী অভিবাসীদের আনুমানিক সংখ্যা কত? এই বিষয়ে কেন্দ্র বলেছে, অবৈধ অভিবাসীরা বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়াই গোপনে দেশে প্রবেশ করে। তাঁদের সনাক্ত করা, আটক করা এবং নির্বাসন একটি জটিল প্রক্রিয়া। যেহেতু এ ধরনের লোকজন গোপনে দেশে প্রবেশ করে, তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের সঠিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। পিটিশনগুলি আসাম চুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৯৮৫ সালে করা সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করেছিল।