আগরতলা, ২৭ আগস্ট: উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কর্মরত ১৬৪৭ জন জুটমিল কর্মীদের ন্যায্য বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারী ও পেনশনার্স সম্মিলিত আহব্বানে মহাকরন অভিযানে সামিল হয়েছেন। কিন্তু সুবিশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে মহাকরণের দিকে অগ্রসর হতেই সেখানে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। এরই প্রতিবাদে তারা সার্কিট হাউস সংলগ্ন এলাকায় ধর্নায় বসলেন। পরবর্তী সময়ে তাদের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের অর্থ সচিবের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন।
এক অবসরপ্রাপ্ত জুটমিল কর্মী জানিয়েছেন, ১৬৪৭ জন জুটমিল কর্মীদের ২৫০ কোটি টাকা বকেয়া টাকা এখনো দেয় নি রাজ্য সরকার। মূলত এরই প্রতিবাদে মহাকরণে অভিযানে নামেন জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারী ও পেনশনার্স।
তাদের দাবি গুলো হল, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৬৪৭ জন প্রাপক সকলের বকেয়া বেতন-ভাতা, গ্রেচ্যুইটি, লিভ সেলারী সহ শতকরা ছয় শতাংশ সুদ সমেত প্রাপ্য একত্রে মিটিয়ে দেওয়া হোক, ইতিমধ্যে জুটমিল কর্তৃপক্ষ মামলাকারী দুটি সংগঠনের মোট ৪১৮ জনের নামের তালিকা শ্রম দপ্তর থেকে এনে, একাধারে না দিয়ে, তার মধ্য থেকে নিজেদের ইচ্ছেমত বাছাই করা ১৯১ জনকে পর্যায়ক্রমে আংশিক প্রাপ্য পাইয়ে দিয়েছেন। পেমেন্টের ক্ষেত্রে কোনভাবেই ইউনিয়ন ভিত্তিক বা গোষ্ঠিভিত্তিক বিভেদ-বিভাজন করা না হোক।
জনৈক এক কর্মচারী জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অমান্যের কারন বশতঃ বাধ্য হয়ে ত্রিপুরার উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সেখানে আদালতের বিচারপতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথাকথিত বকেয়া প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্নাঙ্গ হলফনামা পেশ করার আদেশ দেন। সেইমত গত অগাষ্ট সম্পূর্ন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে একটি হলপনামা আদালতে পেশ করেছেন। পূর্ণাঙ্গ রূপের হলফনামা পেশ করা হয়নি।