শীর্ষ আদালতে জয় মহুয়ার, নেমপ্লেট নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই (হি.স.): শীর্ষ আদালতে জয় হল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রর। কানওয়ার যাত্রার পথে খাবার বিক্রেতাদের নাম লিখতে বাধ্য করা যাবে না। সোমবার উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারকে শুক্রবারের মধ্যে নোটিস দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে। আপাতত দুই সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২৬ জুলাই ফের হবে শুনানি। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, খাবার বিক্রেতাদের মালিক ও নিযুক্ত কর্মীদের নাম পরিবেশন করতে বাধ্য করা যাবে না।অন্তবর্তী নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি রায় বলেন, যদি এই নির্দেশ কার্যকর করার অনুমোদন দেওয়া হয়, তবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মামলাকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। সওয়াল পর্বে তিনি এই ধরনের নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার পুলিশ-প্রশাসনের আদৌ রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, কানওয়ার যাত্রায় এই নাম-নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং নাগরিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। সেগুলি একত্র করে শুনানি হয় সোমবার। সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পরেই সংসদ চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া বলেছেন, “আমি খুশি, আমরা গতকাল পিটিশন দাখিল করেছি এবং সোমবার তা সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। এটা আমাদের সংবিধানের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক নির্দেশ। নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ এসেছে এবং মালিক ও কর্মচারীদের পরিচয় এবং নাম প্রদর্শনের কোনও প্রয়োজন নেই। দোকানে শুধুমাত্র ভেজ/নন-ভেজ চিহ্ন দিতে হবে।”