নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ১৮ জুলাই: ত্রিপুরার শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই বাজারে শাক সব্জির মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এতে বাজারে গিয়ে সব্জির অগ্নিমূল্যে হাত পুড়ছে গরীব মধ্যবিত্তের। কুমারঘাটের বাজারেও ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল মহকুমাবাসী। দাবি উঠছে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের।
ত্রিপুরায় বাজারগুলিতে হুহু করে বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। এই পরিস্থিতিতে এমনিতেই সাধারন মানুষকে সংসার চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজ্যে লাগামহীনভাবে যখন বেড়ে চলেছে অন্যান্য সামগ্রীর দাম তখনই আমজনতার উপর আরো চাপ বাড়ালো বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসব্জির মূল্যবৃদ্ধি। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমাতেও শাকসব্জির অগ্নিমূল্যে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে বিশেষ করে দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের মধ্যে। বিগত একমাস ধরে বাজারে হুহু করে বাড়ছে আনাজের মূল্য।
কুমারঘাট মহকুমার পাবিয়াছড়া বাজারে আসা ক্রেতারা জানালেন, সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে শাক সব্জির দাম। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে মানুষকে। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে নিজেদের প্রয়োজনমতো জিনিস কিনতে পারছেননা সাধারন মানুষ। বাজারে আসা আরো এক ক্রেতা জানিয়েছেন বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন ব্যাবসায়ীরাও। বিভিন্ন সব্জির দামবৃদ্ধিতে কমেছে তাদের বিক্রিও। কুমারঘাট বাজারের এক সব্জি বিক্রেতা জানিয়েছেন, বিগত বন্যা পরিস্থিতি নষ্ট করেছে মাঠের ফসল ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদার চেয়ে কমেছে যোগান। স্বাভাবিকভাবেই বাইরে থেকে চড়া দামে সব্জি ঢুকছে বাজারে আর তাতেই বাড়ছে মূল্য। অধিকাংশ সব্জির দর বাজারে প্রতি কিলো বিক্রি হচ্ছে আশি থেকে একশো টাকায়। তিনি জানান, বর্তমান সময়ে স্থানীয় কৃষকরাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষাবাদ থেকে। বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধি চলতে থাকলে আগামী কিছুদিনে তা আরো দ্বিগুন হবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন ঐ বিক্রেতা। সব্জির অগ্নিমূল্যের জেরে বর্তমানে থলে হাতে বাজারে গিয়ে রীতিমতো হাপিয়ে উঠতে হচ্ছে ক্রেতাসাধারনকে। মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে কবে মিলবে রেহাই? প্রশ্ন সাধারন মানুষের।