বাস চালক ও কন্ডাক্টারের বদান্যতায় সংকটজনক এক কিশোর

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৬ আগষ্ট৷৷ বাস চালক ও কন্ডাক্টারের বদান্যতায় এক কিশোর যাত্রীর অবস্থা সংকটজনক হয়ে উঠেছে৷
attackসোমবার এসব ঘটনার মধ্যে এক ১৯ বছরের যুবকের খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবার ঘটনাটিও কম রোমহর্ষক নয়৷ জানা যায় কুমারঘাট থেকে আগরতলা যাবার পথে বিক্রম হালদার নামে ১৯ বছরের কিশোরটি আগরতলাগামী একটি বাসে চড়ে৷ কিন্তু সুইখ্যাবাড়ী এলাকায় এসে প্রাকৃতিক কার্য করার জন্য বাস থেকে নেমে পড়ে বিক্রম৷ কিন্তু বাসের চালক ও কন্ডাক্টর তাকে সুইখ্যাবাড়ী গভীর জঙ্গলে ফেলে রেখেই সেখান থেকে চাম্পট দেয়৷ জঙ্গলে প্রাকৃতিক কার্য করতে গিয়ে বিক্রম দিশেহারা হয়ে পড়ে৷ সে পথ হারিয়ে ফেলে৷ কারণ চারদিকে জঙ্গল আর পাহাড়৷ কিছুক্ষন পর সে পথ খুঁজে পায় এবং বাস তাকে না নিয়েই রওয়না দিচ্ছে দেখে বিক্রমও বাসের পেছনে পেছন ছুটতে থাকে৷ চিৎকার করতে থাকে৷ কিছুক্ষণ বাদে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে৷ কিন্তু বাস চালক সেদিকে কর্ণপাতই করেনি৷ বিষয়টি নজরে আসে টিএসআর জওয়ানদের৷ খবর দেওয়া হয় চাম্পাহাওড় থানায়৷ থানা বাবুরা বিক্রমকে নিয়ে আসে খোয়াই জেলক্কা সাহপাতালে৷ সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে কুমারঘাটের ১৯ বছরের কিশোর বিক্রম মালাকার৷ সে নির্জন এলাকায় গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ায় বাধে বিপত্তি৷ তার মধ্যে বাস চালক ও কান্ডাক্টরের বদান্যতায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠে বিক্রমের জন্য৷ ইতিমধ্যে পুলিশ বিক্রমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে৷ সেখানকার গ্রাম প্রধানের সাথেও যোগাযোগ হয়েছে৷ সে সুস্থ হয়ে উঠলেই তাকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷ টিআর-০২-১২৭৮ নম্বরের বাসটির খোঁজ চালানো হচ্ছে৷ যে বাসের চালকও কন্ডাক্টর এমন অমানবিক কাজ করেছে যার ফলে একটি ১৯ বছরের কিশোর মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে৷ এই কিশোরটি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েও ফেলতে পারতো৷ এর জন্য দায়ী কে হতো? বর্তমানেও যে যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে এমনটাও নয়৷ যদি এই ঘটনার প্রভাব তার ওপর পড়ে তবে এড দায়ভার কে নেবে? শীঘ্রই বাস চালক ও কান্ডাক্টরকে খোঁজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন জনগন৷ যাতে এমন ঘটনা দ্বিতিয়বার ঘটনোর কেউ ধৃষ্টতা না করতে পারে৷