আগরতলা, ১২ মার্চ : জনজীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধি ১৯৭৩’র ১৪৪ ধারা অনুযায়ী জেলার অন্তর্গত বিলোনীয়া ও সাব্রুম মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটারের মধ্যে রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৫টা পর্যন্ত সময়ে জনসাধারণের চলাচলের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। এই বিধিনিষেধ ১১ মার্চ, ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং তা ৮ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। উল্লেখিত সময়ে ৪ জনের বেশী মানুষের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
দক্ষিণ জেলার পুলিশ সুপার, বিলোনীয়া ও সারুম মহকুমার মহকুমা শাসকের বৈধ অনুমতিপত্র ছাড়া কোন ব্যক্তি বা যানবাহণের চলাচল, অনুমতিবিহীন মিছিল অথবা পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত এবং লাঠি, অস্ত্রসস্ত্র ও পাথরের মতো জিনিষ যেগুলিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন জিনিষ নিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫ কিলোমিটার এলাকায় চলাচল করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫০০ মিটার এলাকায় হাঁটিয়ে বা বাহণে করে কোন ধরণের গবাদি পশু নিয়ে যাবার উপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে চিনি, আটা, ময়দা, চাল, ধান, গম, গমজাত দ্রব্যাদি, কেরোসিন তেল, সরিষার তেল, নারকেল তেল, সার, জামাকাপড়, লোহা এবং স্টিলজাত সামগ্রী, বিড়িপাতা, বিভিন্ন মেশিনের যন্ত্রাংশ, বেবিফুড, সাইকেলের পার্টস, লবন, চা, টায়ার ও টিউব, সমস্ত ধরণের ব্যাটারি, পেট্রোল ও ডিজেল, পাটের কাচামাল, ডাল, মিল্ক পাউডার, সিগারেট, মদ/বিয়ার, মাছ, শুকনো মাছ, রেজার ও ব্লেড, কয়লা, ঔষধ, সিন্থেটিক ড্রাগ, গাজা, কাঠের লগ, মোবাইল ফোনের মতো বিভিন্ন জরুরী সামগ্রী বহন করার উপরও বিধিনিষেদ্ধ আরোপ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১ কিলোমিটারের কাছাকাছি অবস্থিত হাট/বাজার/দোকান রাত্র ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সময়ে খোলার উপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়াও এই আদেশে আন্তসীমান্ত নদীসমূহে শেষ আলো থেকে প্রথম আলো পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চলাচলের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপকরা হয়েছে।
এই আদেশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিযুক্ত সামরিক, আধাসামরিক এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সদস্য, দক্ষিণ জেলার পুলিশ সুপার ও বিলোনীয়া ও সাবুম মহকুমার মহকুমা শাসকের জারি করা বৈধ অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি, জরুরী সরকারি কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারি এবং অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন এমন ব্যক্তিগণ এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবেন। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইপিসি’র ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।