নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১১ মার্চ: গত ৬ মার্চ থেকে প্রাইমেটস ফেস্টিবল শুরু হয়েছিল। সোমবার এই অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয় রোয়া অভয়ারণ্যের এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।
বনদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস, বাগ বাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ, উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, উত্তর জেলা শাসক এবং সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন, উত্তর জেলা বনদপ্তর এর আধিকারিক সুমন মাল্লা, ধর্মনগরের এস ডি এফ ও অশোক কুমার, পানিসাগর সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি মুরারী প্রসাদ সিং, সমরিত্ব করেন পানিসাগরের নগর পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস।
তাছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক এবং বনদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে ৬ তারিখ থেকে যে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল তার সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
প্রাইমেটস বলতে বানর প্রজাতিকে বোঝানো হয়। বানর প্রজাতি দুই ধরনের রয়েছে, এক ধরনের হচ্ছে লেজ যুক্ত এবং অন্য ধরনের হচ্ছে লেজবিহীন। যারা লেজ যুক্ত রয়েছে তাদের মধ্যে আবার সাত ধরনের প্রজাতি রয়েছে। তাদেরকে রক্ষা করা, সংরক্ষণ করে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই অনুষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য।
যেভাবে মানুষ বিভিন্নভাবে বন ধ্বংস এবং প্রজাতি ধ্বংসের মাধ্যমে নিজেদেরকে উন্নত বলে পরিচয় দিতে শুরু করেছে তাতে ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকার পরিণতির দিকে পরিবাহিত হচ্ছে। ম্যান এন্ড এনিম্যাল কনফ্লিক্ট যাতে বন্ধ করা যায় তার জন্য সংরক্ষণের দিকে গুরুত্বারোপ করতে বলা হয়েছে।
মানুষ সুখের জন্য শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে শহর ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে নিজেদের বসবাসের ব্যবস্থা করতে উদযোগী হয়েছে। তাই বন্য প্রজাতির সংরক্ষণ এবং তাদেরকে সঠিক পরিবেশ প্রদান করা মানব সমাজের জন্য একটা শুভ লক্ষণ। না হলে আস্তে আস্তে মানব সমাজ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তা ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে অতিথিদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে।
তাই বন্যপ্রাণী বিশেষ করে বানর প্রজাতিকে রক্ষা করার যে প্রয়াস এবং তাকে কেন্দ্র করে যে বিশেষ অনুষ্ঠান জেলা জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে তার উপর গুরুত্ব আরোপ করে একদিকে যেমন বানর প্রজাতিকে রক্ষা করা সম্ভব তেমনি মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে বলে বর্ণনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বনের সৃজনতা বৃদ্ধিতে পানিসাগর এবং ধর্মনগর মহকুমায় যে অংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেইসব প্রতিযোগীদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হয়।