নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ মার্চ: ১৯৬২ সালে ভারত চিন যুদ্ধের পর তদানীন্তন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু দেহরক্ষী বাহিনীর প্রবর্তন করেছিলেন। সারা দেশ জুড়ে এই দেহরক্ষী বাহিনী নো ওয়ার্ক নো পে হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিল। অথচ তাদের অবসরের সময়সীমা বর্তমানে ৬০ বছর রয়েছে। তা নিয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যে মামলার মাধ্যমে দেহরক্ষী বাহিনীর কর্মীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৭সালে গৃহরক্ষী বাহিনীর ভাতা ত্রিপুরা রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ২৮ হাজার ৫০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্য সরকার দেহরক্ষী বাহিনীর কর্মীদের ২৮ হাজার ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দিতে শুরু করে। আগে দেহরক্ষী বাহিনীর কর্মীরা অবসর গ্রহণের পর ৭৫০ টাকা করে ভাতা পেতো অবশ্য বিজেপি সরকার রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাদের ভাতা ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা করা হয়।
এতে দেহরক্ষী বাহিনী কর্মীদের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে তাতে ২৫০০ টাকায় বৃদ্ধ বয়সে ওষুধপত্র পর্যন্ত ক্রয় করে দৈনিক খরচা বহন করা কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তারা যখন অবসরে যায় তখন তাদেরকে খালি হাতে অবসরে যেতে হয়।
তাই মাসিক পেনশন আড়াই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে দেহরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে। যারা আইন নির্ধারণ করে অর্থাৎ বিধানসভা এবং লোকসভার সদস্যরা তারা একবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হলে সারা জীবন এবং তাদের পরিবার একটা মোটা অংকের ভাতা পেয়ে থাকে।
গৃহরক্ষী বাহিনীর কর্মীদের ক্ষেত্রে সরকার এবং যারা আইন নির্ধারক তারা যাতে কিছুটা স্বহৃদয় হয় তাদের নিদারুণ অবস্থার কথা চিন্তা করে তাহলে অনেক পরিবার বেঁচে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের ২০১৭ সালের রায়ের পর দেহরক্ষী বাহিনীর কর্মীরা একজোট হয়ে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য একত্রিত হতে শুরু করেছে। এখন যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে তাদের দেওয়ালে পিঠ লেগে গেছে। সরকার তাদের হিতে কিছু একটা ব্যবস্থা করবে এমন আশা নিয়েই অপেক্ষায় আছেন বৃদ্ধ অবসর প্রাপ্তরা।