সন্দেশখালি যেতে ‘বাধা’, হাই কোর্টে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার

কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : সন্দেশখালি যেতে ‘বাধা’ এবং গ্রেফতারির প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তথ্য অনুসন্ধানী দল। মামলা দায়েরের অনুমতি বিচারপতি কৌশিক চন্দের।

মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “সেটাই তো স্বাভাবিক যে শাসক দলের নেতাদের আটকানো হবে না। আপনার দল ক্ষমতায় এলে তারাও সেটাই করবে।”

রবিবার দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তথ্য অনুসন্ধানী দলের সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করে। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। শনিবার রাতে ধর্মতলার একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা।

প্রতিনিধি দলের দাবি, পুলিশের তরফে রবিবার সকালে তাঁদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই আইন মোতাবেক তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। চিঠি হাতে পাওয়ার পর তথ্য অনুসন্ধানী দলের

সদস্যরা স্পষ্ট জানান, তাঁরা গ্রামে যাবেন। যে এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে তাঁরা দল বেঁধে যাবেন না। তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র ২ জন ওই গ্রামে ঢুকবেন। এরপর ধর্মতলার হোটেল থেকে বেরন তাঁরা। সড়কপথে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। তবে সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে ভোজেরহাটেই তাঁদের গাড়িকে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। জানানো হয়, বসিরহাটের পুলিশ সুপারই তথ্য অনুসন্ধানী দলকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই আটকাতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী পুলিশ ওই প্রতিনিধি দলের ৬ সদস্যকে আটকে দেওয়া হয়।

পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ভোজেরহাটে পথে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তথ্য অনুসন্ধানী দলের সদস্যরা। প্রথমে রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান পুলিশকর্মীরা। যদিও পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় তথ্য অনুসন্ধানী দলের সদস্যদের। গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তথ্য অনুসন্ধানী দলের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *