আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর : জাতপাতের ভেদাভেদের উর্ধ্বে উঠে স্বেচ্ছায় রক্তদান হল মানব ধর্মের শ্রেষ্ঠ দান। এই রক্তদানের মাধ্যমেই একে অপরের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। যেখানে ধর্ম-বর্ণ- জাতপাতের কোন স্থান থাকেনা। আজ মঠ চৌমুহনী বাজারে শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫৩তম মহোৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ মানুষেরই জন্য, তা রক্তদানের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়ে আসছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে রক্তের বিকল্প আবিষ্কৃত না হওয়ায় একজন মানুষই তার দান করা রক্তের মাধ্যমে আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারেন। তাই রক্তদান হলো সমস্ত দানের উর্ধে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানব শরীরে রক্তের ভূমিকা অপরিহার্য্য।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে একটা আধ্যাত্মিক অনুভূতির সৃষ্টির হয় যা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার মধ্যে একটা মৈত্রীর বন্ধন তৈরী হয়। একজন ব্যক্তির দান করা রক্তের মাধ্যমে ৩-৪ জন মুমুর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে। রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় সরকারি ১২টি ও বেসরকারি ২টি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাব পরিলক্ষিত হয়। রক্তের এই অভাব দূর করতে নির্বাচনের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যব্যাপী রক্তদান শিবির করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। রাজ্য সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বাজার কমিটি সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজ্যবাসী রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে।
মুখ্যমন্ত্রী মঠ চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে মধুর ও বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। যেকোনও বাজারের ব্যবসায়ীদের আচার-আচরন সংশ্লিষ্ট বাজারের সুনাম বৃদ্ধি করে থাকে। ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের পাশাপাশি রক্তদানের মতো মহৎ কাজে এগিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বাজার কমিটিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

