কলকাতা, ১৫ নভেম্বর (হি.স.) : খুন, খুনের বদলা খুন এবং তারপর আগুন-ভাঙচুর-লুঠপাট। জয়নগরের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পার। এবার হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
এখনও জয়নগর এলাকায় ভয়ের পরিবেশ। তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনাতেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনে অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা অথবা সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুঠপাটের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাজভবনে সংবাদমাধ্যমের জন্য বক্তব্য রাখলেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে, রাজভবনও তার কর্তব্য পালন করবে। হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধুমাত্র আইনি ব্যবস্থা নয়, সামাজিক পদক্ষেপ নিতে হবে। হিংসা বাংলার রাজনীতিকে প্রভাবিত করছে। এই হিংসার সংস্কৃতিকে বন্ধ করতেই হবে। আগুন লাগানো, হুমকি দেওয়া এগুলো সব অপরাধের অংশ। অপরাধের পরিবেশ এই রাজ্যের কিছু জায়গায় আছে।”
প্রসঙ্গথ, সোমবার অগ্নিগর্ভের চেহারা নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বাইকে চেপে আসা দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সইফুদ্দিন লস্কর। বাঙালবুড়ি মোড়ে তৃণমূল নেতাকে গুলি করতেই, দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করে কয়েকজন। ৫০০ মিটার দূরে, একজনকে ধরে ফেলে তারা। ভাইরাল হয় সেই সময়কার ভিডিও। সাহবুদ্দিন শেখ নামে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। বামনগাছির বাঙালবুড়ি মোড়ে যখন খুনোখুনি চলছে, ঠিক সেই সময় ৫ কিলোমিটার দূরে দলুয়াখাকি গ্রামে শুরু হয় তাণ্ডবলীলা। গ্রামবাসীদের দাবি, খুনে খবর ছড়াতেই, বেছে বেছে সিপিএম সমর্থকদের ঘরে তাণ্ডব চালানো হয়। আধঘণ্টার মধ্যেই খবর আসে, একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এমনকী দমকলকেও আটকে দেওয়া হয়। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে পরিস্থিতি।