সিবিএসই এর স্বীকৃতি পেল ধর্মনগরের নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল

ধর্মনগর, ১৪ অক্টোবর: সিবিএসই এর স্বীকৃতি পেল ধর্মনগরের নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এই স্বীকৃতি মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের জন্য দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ১৬ই জুন ধর্মনগরে নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলটি শুরু হয়েছিল। তারপর বহুকাল কেটে গেছে। অনেক ঝড় ঝাপটার পরও প্রত্যেকবার বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। বর্তমানে সর্বভারতীয় স্তরে সিবিএসই বিদ্যালয় না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে একটা বড় বাধার সৃষ্টি হয়। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ সিবিএসই ক্যাটাগরির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনে একটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল এসে স্কুলটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করে অক্টোবরে ১২ তারিখ ২০২৩  সিবিএসই স্বীকৃতি প্রদান করল। এই স্বীকৃতি মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের জন্য দেওয়া হয়েছে।

 তা নিয়ে শনিবার দুপুর বারোটায় নর্থপয়েন্ট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কর্তৃপক্ষ এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে, তাদের সিবিএসই এর স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শশাঙ্কশেখর দাস, স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান ডক্টর রজত ভট্টাচার্য, স্কুল কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান  দেবব্রত চক্রবর্তী এবং স্কুল কমিটির সম্পাদক দেবময় ভট্টাচার্য। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কুল কমিটির কোষাধক্ষ্য রাহুল বন্দোপাধ্যায়।

 বর্তমানে সিবিএসই স্বীকৃতি প্রাপকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অত্যাধুনিক ক্রাইটেরিয়া পূরণ করলে তবে স্বীকৃতি পাওয়া যায়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ক্রাইটেরিয়া পূরণ করে এই স্বীকৃতির অধিকারী হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৪২৪ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এ বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ কৃতকার্য হয়েছে। তার মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ত্রিপুরা বোর্ডের মেধার তালিকায় তৃতীয় স্থানটি এই বিদ্যালয়ের দখলে। এই বিদ্যালয়ে এখন ৩৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, চারজন অফিসিয়াল, চারজন অফিসিয়াল, চারজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, একজন নাইটগার্ড এবং একাডেমি কাউন্সিলর হিসাবে দীপঙ্কর গুপ্ত রয়েছেন। ট্রাস্ট এর চারজন সদস্য প্রতিদিন স্কুলের পঠন পাঠন সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। তাদের এই কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বর ূপ বিদ্যালয়ে একটি ভালো ফলাফল বোর্ডের পরীক্ষায় হচ্ছে বলে জানান অধ্যক্ষ শশাঙ্ক শেখর দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *