আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর: দূর্গোৎসবের আনন্দে নতুন রঙ লাগাতে ত্রিপুরা সরকার সরকারি কর্মচারী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য সুখবর নিয়ে হাজির হয়েছে। সরকারি কর্মচারী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য উৎসব অনুদান ও অগ্রিম ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। অর্থ মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায় আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কর্মচারী শ্রেণী নির্বিশেষে ৩০০ টাকার করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাতে ত্রিপুরা সরকারের ব্যয় হবে ৩৬ কোটি টাকা।
তাঁর কথায়, গ্রুপ-এ, গ্রুপ-বি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, ডিআরডাব্লিউ(গ্রুপ-সি) এবং ডিআরডাব্লিউ(গ্রুপ-ডি)-দের জন্য ২০০০০ টাকা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকা এবং হোম গার্ড-দের জন্য ৫০০০ টাকা ও আশা কর্মীদের জন্য ২০০০ টাকা করে উৎসব অগ্রিম দেওয়া হবে, বলেন তিনি।
তাঁর দাবি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, ডিআরডাব্লিউ, পেনশনার্সদের ১৮০০ টাকা করে উৎসব অনুদান দেওয়া হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকা, হোম গার্ড এবং এসপিও-দের ২০০০ টাকা করে উৎসব অনুদান দেওয়া হবে। তাতে মোট ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৭৬ জন বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মচারীরা উপকৃত হবেন। এই উৎসব অনুদান এবং উৎসব অগ্রিম সমস্ত ধর্মাবলম্বীদের উৎসব পালনে সাহায্য করবে।
তাঁর মতে, দুর্গাপূজা, ক্রিসমাস, গড়িয়া পূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা, ঈদ-উজ-জোহা, ঈদ-উল-ফিতর, বাংলা নববর্ষ, মহাবীর জয়ন্তী, গুরুনানকের জন্মদিন পালনে উৎসব অনুদান এবং উৎসব অগ্রিম পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, এই উৎসব অনুদানের পরিমাণ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৭০০ টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার টাকা করা হয়েছিল। তাছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫০০ টাকা এবং ১৭০০ টাকা। এই বছরে আরও ৩০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পাশাপাশি উৎসব অগ্রিমের পরিমাণ যেখানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা। তা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৃদ্ধি করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাঁর দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাগণ অতীতে উৎসব অগ্রিম পেতেন না। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে তাঁদের ওই বাবদ ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, বলেন তিনি।
সাথে তিনি যোগ করেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে হোম গার্ডস এবং আশা কর্মীদেরও ৫ হাজার টাকা এবং ২ হাজার টাকা করে উৎসব অগ্রিম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উৎসব অগ্রিমের পরিমাণ এবছরও অপরিবর্তিত থাকবে।