বক্সনগর ১৬ সেপ্টেম্বর :–রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা যতই বলুক না কেন, নেশা মুক্ত ত্রিপুরা,এক ত্রিপুরার শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা বানানোর লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্য কথাই বলছে, আমাদের সমাজব্যবস্থা বেশ কিছু স্বার্থান্বেষীর,কারণে, অতিরিক্ত স্বার্থ লোভী এবং অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে, নেশা সামগ্রী পাচার, বিক্রি করা, এবং সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজে বড়লোক হওয়া, রাতারাতি বিলাস বহুল রাজপ্রাসাদএবং বিলাস বহুল গাড়ির মালিক হওয়া। যার কারণে গোটা বক্সনগর এলাকা ফরেস্ট রিজার্ভের জাগায় জবরদখল করে, বনভূমি ধ্বংস করে, প্রকৃতিকে নিধন করে, গাঁজা চাষে মত্ত চাষিরা।
বড় বড় গাজা চাষী ইনভেস্টার এর মত লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে,খামার বাড়ি বানিয়ে বাগানের মধ্যে থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিক আনিয়া কাজ করাচ্ছে । বাংলাদেশের পাটকে যেমন সোনালী ফসলের সঙ্গে তুলনা করা যায়, তেমনি গাঁজা ফসল ও সোনার ফসল বলে, আখ্যায়িত করেছেন গাঁজা চাষিরা। আর তা না হলে কেনই বা স্বর্ণ গয়না বন্ধক দিয়ে, আশা, বন্ধন, আশীর্বাদ মাইক্রো ফিন্যান্স, থেকে এমনকি এস এইচ জি গ্রুপ থেকে লোন নিয়ে টাকা ঢেলে গাজা বাগান করছে। বক্স নগর ব্লক এলাকার মধ্যে সবচাইতে বেশি গাজা ইনভেস্টার হচ্ছে কমলনগর এবং আনন্দপুর, ধনিরামপুর, ঘাটিঘর এলাকায়,। তাছাড়া রয়েছে দক্ষিণ কলম চৌড়া, উত্তর কলম চৌড়া, বাগবের,মানিকনগর বেলারচর, বক্সনগর পুঠিয়া রহিমপুর সীমান্তবর্তী জায়গাগুলি। মতিনগর বাতা দোলার পূর্ব অংশে, রিজাবের জায়গা, ফুল কুমারী, এক কথায় গোটা বক্সনগর এলাকায় গাঁজা চাষে রমরমা। এইসব গাঁজা চাষের পেছনে বিরাট রহস্য লুকিয়ে আছে দহরম মহরম বিশাল টাকার বিনিময়ে ফরেস্টার কিছু কর্মচারী, পুলিশ প্রশাসনের লোক, এমনকি কাস্টম রেঞ্জ অফিসাররা পর্যন্ত জড়িত রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে তাদেরকে ম্যানেজ করার জন্য শাসক গোষ্ঠী দলীয় উপস্তরের নেতৃত্ব। এখন পর্যন্ত গোটা বক্সনগর এলাকায় কোথাও গাঁজা অপারেশন করার জন্য নামেনি প্রশাসন। অতিরিক্ত টাকা পয়সা হওয়ার ফলে সমাজ আজ রসাতলা যাচ্ছে, নেশার প্রতি আসক্ত করছে, যুব সমাজকে সমাজে বাড়ছে চুরি ছিনতাই ডাকাতি এবং বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ । ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে গেলে অচিরে নেশা মুক্ত এবং নেশা থেকে বি রত থাকার জন্য সমাজের সুশীল লোক এগিয়ে আসতে হবে তার পাশাপাশি প্রশাসনের ভূমিকা সঠিক নেয় নীতি থাকতে হবে। এখন দেখার বিষয় শুভবুদ্ধিলোক এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা কি ভূমিকা গ্রহণ করে, সেই গাঁজা চাষীদের ব্যাপারে।