দুর্গাপুর, ২৬ আগস্ট (হি. স.) :পুকুর থেকে নিখোঁজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার রাত্রে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়া শংকরপুর ক্যান্টিন এলাকায়। শনিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম পীযূষ রাউত (১২)। সে উখরা আদর্শ হিন্দি হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। হরিপুর সংলগ্ন ছোড়া মোড়ের বাসিন্দা। ঘটনায় জানা গেছে, পীযুষ শুক্রবার সকালে টিউশন পড়ার জন্য উখড়া আসে। টিউশন শেষে স্কুল তারপর স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার কথা ছিল পীযুষের। এদিন স্কুল ছুটির পর দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় পীযুষের খোঁজ শুরু করে তার পরিবারের লোকজন। স্কুলে এসে জানতে পারে পীযুষ এদিন স্কুল আসেনি। সন্ধ্যেবেলায় প্রথমে বনবহাল পুলিশ ফাঁড়ি ও পরে উখড়া পুলিশ আউটপোস্টে পীযূষের নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার মা পল্লবী রাউত। অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ ছাত্রের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শংকরপুর রেল গেটের কাছে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাতে এদিন দেখা যায় বেলা দশটা পনেরো নাগাদ পীযুষ তার এক সহপাঠীর সঙ্গে রেলগেট পেরিয়ে শংকরপুরের দিকে যাচ্ছিল। এই ফুটেজের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সহপাঠীর বাড়ি শংকরপুর ক্যান্টিন এলাকায়। সহপাঠীর বাড়ি পৌঁছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, এদিন টিউশন শেষে তারা স্কুল না গিয়ে বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুরে গিয়েছিল স্নান করতে। পুকুরে ডুবে যায় পীযুষ। ভয় পেয়ে ওই সহপাঠী বাড়ি ফিরে আসে। এরপর ওই ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। গভীর রাতে পুকুর থেকেই ছাত্রটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুকুর পাড়ে পড়েছিল তার স্কুলের পোশাক,ব্যাগ ও চটি। পীযুষের বাবা প্রদীপ রাউত পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ করেন পুনেতে। শনিবার সোজা হাজির হন উখড়া পুলিশ আউট পোস্টে। সকাল থেকেই সেখানে ছিল পীযূষের মা পল্লবী সহ আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা। পীযুষের মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। শনিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

