নয়াদিল্লি, ৬ মে (হি.স): বিগত ২০২২ সালে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ । ডেঙ্গিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সংখ্যার নিরিখে অনেকটা পিছিয়ে ইউপি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশ করা পরিসংখ্যানে গত বছর রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ২৭১ জন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৫৬৩ জন। অর্থাৎ ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া মিলিয়ে এক বছরে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এক লক্ষেরও বেশি মানুষ।
ডেঙ্গিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সংখ্যার নিরিখে অনেকটা পিছিয়ে ইউপি। সেখানে ২০২২ সালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজারের কিছু বেশি মানুষ। ম্যালেরিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহার। পড়শি রাজ্যে গত বছর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি মানুষ।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক অভিযোগ করেছিল, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার তথ্য কেন্দ্রকে দিচ্ছে না। ফলে বার্ষিক রিপোর্ট তৈরি করা যাচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি মাসে এই অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিতর্কের পর বাংলার স্বাস্থ্য ভবন সেই রিপোর্ট পাঠায় দিল্লিকে। তারপরই দেখা যায় বাংলা এই দুই মশাবাহিত রোগে সবার উপরে রয়েছে।
গত বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তরুণ-তরুণীদের মৃত্যু পরিস্থিতিকে বিপর্যয়ের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল রাজ্যে। এ ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতাকে দায়ী করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, কেউ যদি বাড়িতে জল জমিয়ে রাখেন, তাতে যদি মশা জন্মায় তাহলে প্রশাসন হাজার চেষ্টা করেও ডেঙ্গি আটকাতে পারবে না।
এ কথা ঠিক যে, মশাবাহিত রোগ প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সরকারের সচেতনতামূলক প্রচারের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সামগ্রিকভাবে জনমানসে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। এবারও আগেভাগেই প্রশাসনকে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু জায়গায় পুরসভা, পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মশা মারতে নর্দমা, খালে গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। এবার কী হয় সেটাই দেখার।