নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ মার্চ৷৷ মৃত্যুর ১৫ দিনের মাথায় কফিন বন্দি হয়ে বাড়ি এল রহস্যজনক ভাবে কুয়েতে মৃত্যু হওয়া সোনামুড়ার এনসি নগর এর ইমান হোসেনের দেহ৷ বছরখানেক আগে কাজের সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে পাড়ি দিয়েছিল সে৷ ইমান আত্মহত্যা করেছে৷ কর্মসংস্থান দেওয়া সে দেশের সাইবার কোম্পানি এই দাবি করলেও পরিবারের লোকদের ধারণা তাকে খুন করা হয়েছে৷
দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ না হওয়ায় রাজ্যে বহু বেকার যুবকরাই আজ বিদেশে তথা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হিসেবে বসবাস করছে৷ সে দেশগুলির বিভিন্ন কোম্পানিতে ক্লিনার, গার্ড হোটেল বয়স ইত্যাদি পদে কর্মরত হয়ে হত দরিদ্র পরিবার পরিজনদের মুুখে খানিকটা হাসি ফঁুটানোর চেষ্টা করছে৷ বেকারত্বের জ্বালা থেকে নিজেকে মুক্ত করতেও শ্রমজীবী পরিবারে কিছুটা মুখে এনে দিতে বছর খানেক আগে কুয়েতে পাড়ি দিয়েছিল ২২ বছর বয়সী সোনামুড়ার এনসি নগর এলাকার ইমান হোসেনও৷ কিন্তু পক্ষকাল আগে কুয়েতের হাসারিয়া শহরের সিলভার কোম্পানিতে কর্মরত ক্লিনার ইমান হোসেনের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়৷ পরিবারের দাবি যে কোম্পানিতে ইমান কর্মরত ছিল সে কোম্পানির ম্যানেজার ও সুপারভাইজারের ঝগড়া, নতুন কেনা দামি মোবাইল রেকর্ড করেছিল সে৷ এই ঝগড়া বা বিবাদের দৃশ্য কোম্পানির ওপর মহলে ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ইমানকে খুন করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে৷
পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে ইমানকে প্রথমে মেরে পরবর্তী সময় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পরনের গেঞ্জি দিয়ে জলের পাইপের সঙ্গে দেহ ঝুলানো ছিল৷ পা গুলি মাটিতে লাগানো অবস্থায় ছিল৷ তারা এখবর জানতে পেরেচে অন্য প্রবাসীদের কাছ থেকে৷ পরিবারের দাবি এ অবস্থায় কেউ ফাঁসি দিতে পারে না৷ তাই সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্য ও দেশের সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ইমানের পরিবারের লোকেরা৷ গত এক বছরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বাড়িতে পাঠিয়েছিল ইমান৷ ধীরে ধীরে দরিদ্রতা কমেছিল কৃষিজীবী পরিবারটির৷ এর মধ্যে এই অবস্থা৷ বাকরুদ্ধ মৃত ইমানের পরিবার৷
2016-03-12

