হাওড়া, ৭ জানুয়ারি (হি. স.) : হাওড়ায় ফের জঙ্গির খোঁজ। কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে দুই যুবককে গ্রেফতার করে কলকাতার এসটিএফ । অভিযোগ, ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) -এরমতে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে প্রচার চালাত তারা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়েক মগজ ধোলাই করেছে তারা। মনে করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে পাকিস্তান-মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশের হ্যান্ডলারদের যোগাযোগ ছিল। ধৃত দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। শনিবার তাদের আদালতে তোলা হলে ১৯ জানুয়ারি অবধি পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে হাওড়া থেকে গ্রেফতার দুই যুবক| গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্স তল্লাশি অভিযানে নামে| হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের বাড়ি থেকে গতকাল সারারাত তল্লাশি চালিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই যুবকের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও শেখ সঈদ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজারহাট আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমটেকের ছাত্র সাদ্দাম। শনিবার ধৃত দু’জনকে আদালতে তোলা করা হলে আদালত তাদের আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসা করে এর পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে তাড়া করে এই দুজনকে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে সাদ্দাম উচ্চশিক্ষিত। শুক্রবার তারা দুজন খিদিরপুর থেকে একটি গোপন বৈঠক সেরে ফিরছিল। পুলিশের কাছে খবর থাকায় তারা দুজনকেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে অনুসরণ করে। শেষে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড সংলগ্ন আফতাবুদ্দিন লেন থেকে সাদ্দামকে ধরা হয়। ওই এলাকারই বাসিন্দা তিনি। পাশের একটি রাস্তাতেই সঈদের বাড়ি।
যদিও সাদ্দামের পরিবারের দাবি, সে কোনওভাবেই দেশবিরোধী কাজে যুক্ত নয়। তার দাদা ওসমান দাবি করেন, একাধিকবার সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়েও সে পায়নি। গত কয়েকবছর ধরে সাদ্দাম একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে। সারাদিন সে কাজের মধ্যেই ডুবে থাকত। কোনওভাবেই তার ভাই বা তার পরিবারের কোনও সদস্য দেশবিরোধী কাজে যুক্ত নয় বলেই দাবি ওসমানের। ধৃতদের সঙ্গে আর কারা যুক্ত তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গত বছর হাওড়া থেকে একাধিক ইসলামিক চরমপন্থী জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।উল্লেখ্য, কয়েকবছর আগে টিকিয়াপাড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে আইনুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি।