নয়াদিল্লি, ৪ জানুয়ারি (হি.স.): বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম নেত্রী সুহাষিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লউল, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা বর্মারা। বুধবার সেই মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি নিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী। ফলে নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত শুনানি মুলতুবি হয়ে গেল।
বুধবার শুনানির শুরুতেই বেঞ্চের অন্য বিচারপতি অজয়কুমার রাস্তোগি জানান, বিচারপতি ত্রিবেদী মামলাটি শুনতে চান না। তার পর তিনি নির্দেশ দেন, মামলাটি এমন কোনও বেঞ্চের তালিকাভুক্ত করা হোক যেখানে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কেউ থাকবেন না।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মে মাসে মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি পরিচালিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সঙ্কেত পায়।
গত ১৭ ডিসেম্বর ১১ জন ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিলকিস আর্জি জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতে। সেই বেঞ্চেও প্রথমে ছিলেন বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি রাস্তোগী। কিন্তু ত্রিবেদী পরে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।