হাফলং (অসম), ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলা সদর হাফলঙে চলমান জাটিঙ্গা মহোৎসবের অষ্টম সংস্করণকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইছিল। কিন্তু ওই দুই দলের যাবতীয় চেষ্টায় জল ঢেলে জাটিঙ্গা মহোৎসবে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন জনতা তথা দেশ-বিদেশের পর্যটক। এরই মধ্যে বলিউডের সঙ্গীতশিল্পী নিখিল ডিসুজার সঙ্গীতানুষ্ঠান জাটিঙ্গা মহোৎসবে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
অসম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ডিমা হাসাও জেলাকে এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই অবস্থায় ডিমা হাসাও জেলায় জাটিঙ্গা মহোৎসব ও ফ্যালকন মহোৎসব পর্যটকদের কাছে এক জনপ্রিয় মহোৎসব হয়ে উঠেছে। এই দুটি মহোৎসবে পর্যটকদের প্রচুর ঢল নামে। এবার জাটিঙ্গা মহোৎসবে পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। গত দু-বছর পর এবার কোভিড প্রটোকল ছাড়াই জাটিঙ্গা মহোৎসব উদযাপন হচ্ছে। যার দরুন এবার জাটিঙ্গা মহোৎসবকে নিয়ে উৎসাহ ছিল দ্বিগুণ।
এবার জাটিঙ্গার পরিযায়ী পাখির সংরক্ষণ সুরক্ষার থিম নিয়ে মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় অষ্টম জাটিঙ্গা মহোৎসবের উদ্বোধন করেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের অধ্যক্ষ রাণু লাংথাসা। জাটিঙ্গা মহোৎসবের প্রথম দিন ডিমাসা, নাগা, জয়ন্তিয়া জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত লোক-সংস্কৃতি ও লোকনৃত্যের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়। তবে জাটিঙ্গা মহোৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার রাতে বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নিখিল ডিসুজার সঙ্গীত অনুষ্ঠান ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনপ্রিয় মিউজিক্যাল ব্যান্ড আরোগ্য মহোৎসবের অন্যমাত্রা এনে দেয়।
গভীর রাত পর্যন্ত চলে বলিউডের সঙ্গীতশিল্পী নিখিল ডিসুজার সঙ্গীতানুষ্ঠান। বলিউডের এই সঙ্গীতশিল্পীর গান উপভোগ করতে জাটিঙ্গা মহোৎসবস্থলে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। আজ রবিবার অফিস-কাছারি বন্ধ থাকায় শনিবার বিকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রচুর পর্যটক আসেন জাটিঙ্গা মহোৎসব উপভোগ করতে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অন্ধকার রাত ও ঘন কুয়াশার মধ্যে উল্টো দিক থেকে দেশ-বিদেশের পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে জাটিঙ্গায়। আর এই পাখি আসার দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতি বছরই প্রচুর পর্যটক আসেন জাটিঙ্গায়। কারণ জাটিঙ্গা পরিযায়ী পাখির জন্য দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে এক অতি পরিচিত নাম