আগরতলা, ৯ জুন : কন্যা সন্তান জন্মানোয় স্ত্রীর প্রতি অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ্বাশুরী সহ ননাস ও ননাসের স্বামীর বিরুদ্ধে। শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে স্ত্রী। কন্যা সন্তানকে নিয়ে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ।
নির্যাতিতা গৃহবধূ রীতা দাস জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী সুমন দাস তাঁর উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছিলেন। কয়েকবার থানার দারস্থও হয়েছেন তিনি। পুলিশ স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ফের শ্বশুড় বাড়ির চাপে পড়ে স্বামীকে থানা থেকে ছুটিয়ে আনেন তিনি।
২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর রীতার সঙ্গে বিয়ে হয় আড়ালিয়া শান্তিপাড়ার সুমন দাসের। গৃহবধুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, বিয়ের সময় তাঁর বয়স ১৮ ছিল। ইতিমধ্যে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। কন্যা সন্তানের জন্মের পরেই বৃদ্ধি পায় অত্যাচারের মাত্রা।
বুধবার রাতে স্বামী সুমন স্ত্রীকে বেধড়ক মারধোর করেছে বলেও অভিযোগ। এমনকি গৃহবধূর সিজারের সেলাইয়ে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ। তাতেই শুরু হয় রক্তক্ষরণ। যন্ত্রণায় ছটপট করলেও স্বামী ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়নি তাঁকে। কোন ক্রমে টাকা জোগাড় করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে তিনি। এই অত্যাচারের ঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়েছেন রীতা দাস।তাঁর অভিযোগ, শ্বশুড় কান্তি লাল দাস গৃহবধুর পক্ষে কথা বলায় তাঁকে পাগল বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে তাঁর। স্বামী, শ্বাশুড়ী, ননাস ও ননাসের স্বামীর অত্যাচারের বিচারের আশায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।