River erosion is a relief to the people : নদী ভাঙ্গন রোধে জল সম্পদ দপ্তরের ভূমিকায় স্বস্তি জনমনে

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দীর্ঘ বাম জামানার সঞ্চিত সমস্যা অনেকটাই নিরসন হয়েছে৷ সরকার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজ্যের উন্নয়নে অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অব্যাহত রয়েছে৷ তবে রাজ্যবাসী বর্তমান সরকারের কাছে আরেকটু আশা প্রত্যাশা দাবি করছেন৷ বিগত বাম আমলে উত্তর জেলার যুবরাজ নগর ব্লকাধীন ডুপিরবন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর এলাকার বাউল টিল্লা নামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নদী ভাঙ্গনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল৷বাউল টিল্লার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাকড়ি নামক একটি ছড়া ধীরে ধীরে দুপাশ ভেঙ্গে নদীতে রুপ ধারণ করে৷কাকড়ি নদীটি বাংলাদেশে গিয়ে মিশেছে৷


এক কালের ছড়াটিতে বর্তমান বর্ষাকালে বড্ড ভয়াবহতা দেখা যায়৷আর তাতে করে বাউল টিল্লাতে অবসিত একটি মন্দির,দশ থেকে বারো টি বসত বাড়ি সহ কৃষ্ণপুর বাজারে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়৷ ভাঙ্গন দেখা দেয় ধর্মনগর টু তিলথৈ সংযোগী কাকড়ি ব্রিজেও৷ বর্ষাকালে নদীর প্রবল জলশ্রুতে নদীর দু পাশের কৃষি জমি সহ অনেক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ নদীর জলে ভেসে গিয়েছে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড গাছপালা৷ পূর্বতন সরকারের নিকট উক্ত নদী ভাঙ্গন রোধে বার বার দাবি জানালেও নদী ভাঙ্গন রোধে তমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তৎকালীন রাজ্য সরকার৷ কিন্তু দু হাজার আঠারো বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর বাউল টিল্লা এলাকার দীর্ঘদিনের নদী ভাঙ্গন সমস্যা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাজ্য সরকার৷


দু হাজার কুড়ি সালে নভেম্বর মাসে জল সম্পদ দপ্তর থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে তিনশো মিটার সি সি ব্লক বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷নদী ভাঙ্গন রোধে তিনশো মিটার সিসি ব্লকের বরাত পান বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য নামের এক কন্টাকটার৷ সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী কাকড়ি নদীর জলস্রোতের হাত থেকে বাউল টিল্লা সহ কাকড়ি ব্রীজকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যে জোর কদমে চলছে সিসি ব্লক বসানোর কাজ৷ যদিও নদীর জলস্রোতে বাউল টিল্লায় অবস্থিত লোকনাথ মন্দিরটি বিপদসীমার উপর রয়েছে৷তবে বর্তমানে সিসি ব্লক বসানোর ফলে এই বর্ষা মরশুমে বাউল টিল্লা সহ তিনশো মিটার এলাকায় তেমন কোন নদী ভাঙ্গন পরিলক্ষিত হয়নি৷তবে এই কাকড়ি নদীটি বাউল টিল্লা ছাড়াও কৃষ্ণপুর বাজার সহ পাঁচ থেকে ছয়টি বসত বাড়িতে ভাঙ্গনের তান্ডব চালাচ্ছে৷ এলাকাবাসীদের দাবি বাউল টিল্লা ছাড়াও কৃষ্ণপুর বাজারের আশপাশের অংশে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সিসি ব্লক বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করুক৷ নতুবা বসতবাড়ি গুলি সহ কৃষ্ণপুর বাজারটি নদীগর্ভে চলে যাবে৷


এদিকে জল সম্পদ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রূপম অধিকারী জানান, উনারা সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী কাকড়ি নদীর ভাঙ্গনরোধে সিসি ব্লক বসাচ্ছেন৷ তিনশো মিটারে প্রায় ত্রিশ হাজারের অধিক সিসি ব্লক বসানো হবে৷ সম্প্রতি এই কাজের গুণগত মান নিয়ে যুবরাজ নগর ব্লকের বিডিও সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন৷ আগামী ছয় মাসের মধ্যে নদী ভাঙ্গন রোধে সিসি ব্লক বসানোর কাজ সম্পূর্ণ রুপে শেষ হবে বলে আশাবাদী জলসম্পদ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রূপম অধিকারী৷ অপরদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বাউল টিল্লা এলাকার কাকড়ি নদীর পাশে সিসি ব্লক বসানোর ফলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পরিচালিত লোক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *