Donation for the Divyangans in the state : রাজ্যে দিব্যাঙ্গনদের জন্য সাহায্যের ডালি নিয়ে হাজির কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ আগস্ট৷৷ ত্রিপুরায় দিব্যাঙ্গনদের জন্য সাহায্যের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছেন কেন্দ্রীয় ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ণ রাষ্ট্র মন্ত্রী ভূমিকন্যা প্রতিমা ভৌমিক৷ রাজ্যে আরও চারটি জেলা প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রত্যেক জেলা ও মহকুমায় ডে কেয়ার সেন্টার ও আটটি জেলায় বৃদ্ধাশ্রম স্থাপন এবং সারা রাজ্যে দিব্যাঙ্গনদের জন্য ইউডিআইডি কার্ড প্রদানের জন্য প্রস্তাব পাঠাতে ত্রিপুরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ ত্রিপুরার ভূমিকন্যা হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় মাতৃভূমির প্রতি ঋণ পরিশোধের ইচ্ছায় তিনি রাজ্য সরকারকে ওই পরামর্শ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বর্তমানে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন৷


আজ আগরতলা টাউন হলে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে দিব্যাঙ্গনদের মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতি ছাত্রছাত্রীদের রাজ্যভিত্তিক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক৷ তিনি দিব্যাঙ্গনদের হাতে ইউডিআইডি শংসাপত্র এবং চলন সামগ্রী তুলে দিয়েছেন৷
এদিন তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার নিজের মাতৃভূমিতে এসে প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি৷ তাতে ভীষণ গর্ব অনুভব হচ্ছে৷ তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার দিব্যাঙ্গনদের জন্য প্রচুর প্রকল্প এনেছে৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় চারটি জেলা প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে৷ ত্রিপুরা সরকারকে আরও চারটি কেন্দ্র স্থাপনে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছি৷ তাঁর আশ্বাস, প্রস্তাব পাওয়া সাথে সাথেই অনুমোদন দেওয়া হবে৷ তাঁর কথায়, জেলা প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলি হাসপাতালের নিকটে হলে ভালো হবে৷


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ত্রিপুরায় আটটি জেলায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম খোলা হবে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা সেগুলি পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে৷ তবে, সমস্ত খরচ সরকারই বহন করবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আটটি জেলায় এবং সমস্ত মহকুমায় ডে কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হবে৷ সেখানে প্রবীণরা সকাল থেকে সন্ধ্যা সময় কাটাতে পারবেন৷ তাঁদের জন্য খাবার এবং বিনোদনের সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে৷ ওই সেন্টার গড়ে তোলার সমস্ত খরচ কেন্দ্রীয় সরকার ব্যয় করবে৷ তিনি বলেন, ওই সেন্টারগুলিতে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ফিজিওথেরাপি এবং অন্যান্য প্রাথমিক চিকিতার বন্দোবস্ত থাকবে৷


এদিন তিনি জানান, ত্রিপুরায় ৮৪ হাজার দিব্যাঙ্গন রয়েছেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার মধ্য প্রদেশকে ইউডিআইডি কার্ড প্রদানে চিহ্ণিত করেছে৷ তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ত্রিপুরাকে অন্তর্ভুক্ত করে ১০০ শতাংশ ইউডিআইডি কার্ড দিব্যাঙ্গনদের প্রদানে অনুরোধ জানিয়েছি৷ প্রত্যেক মহকুমায় শিবির গঠন করে মিশন মুডে ওই লক্ষ্যমাত্রায় পৌছানো হবে৷ তিনি ধলাই, উত্তর ত্রিপুরা, গোমতি এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকদের চলন সামগ্রী সহ অন্যান্য সামগ্রী প্রয়োজন রয়েছে এমন দিব্যাঙ্গনদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য বলেছেন৷
এদিন তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরায় আশা ও অঙ্গনওয়াডি কর্মীদের উচ্চ প্রশংসা করেছেন৷ সারা ত্রিপুরায় কোভিড টিকাকরণে তাঁদের অনবদ্য অবদানকে তিনি কুর্ণিশ জানিয়েছেন৷ কারণ, তাঁদের জন্যই ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৯৩ শতাংশ টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *