নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জুন।। বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত রাস্তাটি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করেন ঢাকাস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। ভারতীয় অর্থে এই রাস্তাটি চার লেনে রূপান্তর করা হচ্ছে। তিনি আজ সকালে স্বস্ত্রীক দিল্লিতে গিয়েছেন। আগরতলা আখাউড়া চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়েছেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।
তিনি সকালে ঢাকা থেকে আখাউড়া আসার পথে রাস্তাটি দেখে এসেছেন বলেও জানিয়েছেন। আশুগঞ্জ নৌবন্দরটির মাধ্যমে ভারতের অন্য রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় পণ্য আনা হচ্ছে। কিন্তু আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রশস্থ ছিল না। তারজন্যে বর্তমান রাস্তাটিকে চার লেনে রূপান্তর করা হচ্ছে। বিক্রম দোরাইস্বামী জানান ভারত এবং বাংলাদেশ-এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের যোগাযোগের মাধ্যম গুলি চালু করা হয়েছে। এরই এবং পণ্য পরিবহনের মাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে বর্তমানে ভারত এবং বাংলাদেশ-এর মধ্যে রফতানি বানিজ্যের পরিমান বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করেন বিক্রম দোরাইস্বামী। উভয় দেশেই লাভবান হচ্ছে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতে করোনার টিকার যোগানের কি পরিস্থিতি রয়েছে। তা দেখতেই দিল্লি যাচ্ছি। বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন ভারতে টিকার যোগান স্বাভাবিক হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তিনি আশাব্যক্ত করে বলেন খুব দ্রুত বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রেও যদি কোন সমাধান করতে কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা তার চেষ্টা তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা সরবরাহ করতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তি মতে তিন কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা। এর মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সত্তর লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে বাংলাদেশকে। প্রতি মাসে পঞ্চাশ লাখ করে টিকা পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ভারতেই টিকার যোগানের ঘাটতি থাকার ফলে বাংলাদেশে টিকা পাঠানো সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তির আওতায় সেরাম থেকে বাকি দুই কোটি ত্রিশ লাখ টিকার চালান আটকে যায়। চুক্তিমতো ভারত থেকে টিকা না পেয়ে বাংলাদেশ এরই মধ্যে চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে তিন মাসে দেড় কোটি টিকা কিনছে।