লখনউ, ২৪ ডিসেম্বর : ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও ভারতরত্ন আতিক বিহারি বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর লখনউ সফরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরের অংশ হিসেবে তিনি ‘রাষ্ট্রীয় প্রেরণা স্থান’ নামক একটি জাতীয় স্মৃতিস্মারক উদ্বোধন করবেন, যা বাজপেয়ীর জীবন, আদর্শ এবং নেতৃত্বের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আনুমানিক দুপুর ২:৩০টায় এই স্মৃতিস্মারকটির উদ্বোধন করবেন এবং উপস্থিত জনতাকে ভাষণ দেবেন।
‘রাষ্ট্রীয় প্রেরণা স্থান’ একটি ঐতিহাসিক জাতীয় স্মৃতিস্মারক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে, যা আতিক বিহারি বাজপেয়ী এবং অন্যান্য মহান নেতাদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে, যারা ভারতের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষ্য হল স্বাধীন ভারতের মহান নেতাদের আদর্শকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা এবং তাদের অবদানকে স্মরণ করা।
এই স্মৃতিস্মারকটি প্রায় ৬৫ একর জায়গায় তৈরি করা হয়েছে এবং এর নির্মাণ ব্যয় দাঁড়িয়েছে ₹২৩০ কোটি। এটি একটি স্থায়ী জাতীয় সম্পদ হিসেবে পরিকল্পিত, যা নেতৃত্বের মূল্যবোধ, জাতীয় সেবা, সাংস্কৃতিক সচেতনতা এবং জনসাধারণের অনুপ্রেরণা প্রচারে সহায়তা করবে।
স্মৃতিস্মারকটির মূল আকর্ষণ হল ৬৫ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য, যা ভারতীয় রাজনৈতিক চিন্তা, দেশ গঠন এবং জনজীবনে বাজপেয়ী, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এবং পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের অবদানকে চিত্রিত করে। এই ভাস্কর্যগুলি তিন মহান নেতার অবদানকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।
এছাড়া, স্মৃতিস্মারকটির মধ্যে একটি অত্যাধুনিক, পদ্মফুল আকৃতির যাদুঘরও রয়েছে, যা প্রায় ৯৮,০০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই যাদুঘরে ভারতে স্বাধীনতার পরবর্তী যাত্রা এবং নেতৃত্বের অবদান নিয়ে ডিজিটাল এবং ইমার্সিভ প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি ইন্টারেক্টিভ ও শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, ‘রাষ্ট্রীয় প্রেরণা স্থান’ উদ্বোধন করা হচ্ছে যাতে আত্মনির্ভরশীল নেতৃত্ব এবং সৎ শাসনের আদর্শকে সংরক্ষণ করা যায় এবং এটি নাগরিকদের, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগাবে।

