বেঙ্গালুরু, ২৪ ডিসেম্বর : কর্ণাটক মন্ত্রীর একান্ত সচিব সারফরাজ খানের বাড়ি ও অফিসে লোকায়ুক্ত বুধবার ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। খানের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছে, যা মন্ত্রীর আশেপাশে দুর্নীতির তদন্তকে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে। মন্ত্রী জামির আহমেদ, যিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত, তার সাথে সম্পর্কিত এই ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
লোকায়ুক্তের দল মঙ্গলবার সকালে ১৭টি স্থানে অভিযান চালায়, যেখানে চারজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। লোকায়ুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব অভিযানে ১৯.২ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে।
একজন সরকারি কর্মকর্তা ৯.৮৯ কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ৭টি প্লট, ৪টি বাড়ি, ৯.১৭ কোটি টাকার একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, ২.০২ লাখ টাকা নগদ, ৮.২২ লাখ টাকার গহনা এবং ৬২ লাখ টাকার যানবাহন রয়েছে।
একজন মহিলা কর্মকর্তা ৪.০৯ কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
অভিযানের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তাদের মধ্যে আছেন শ্যামসুন্দর কাম্বলে, যিনি বাগালকোট জেলার পঞ্চায়েতের সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত। এছাড়া মালাপ্পা, যিনি বিজয়পুরা জেলার বাগেওয়াড়ি এলাকার কৃষি বিভাগের সহকারী পরিচালক, এবং মারুতি ইয়শ্বন্ত মালভি, যিনি কারওয়ারের সিদ্ধাপুর কোলা শিরসি গ্রাম সেবা সহকারি সংঘের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, বিজয়ালক্ষ্মী, যিনি রায়চুর জেলার গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত, তাদেরও বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
লোকায়ুক্তের এই অভিযান রাজনৈতিক মহলে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেছে, যা আগামী দিনগুলোতে আরও তদন্তের পথে নিয়ে যাবে।

