বিজেপি নেতার “টিভি সিরিয়াল” তীর্যক মন্তব্য, বিআরএস-ফোন ট্যাপিং কাণ্ডে তদন্তের দাবি

হায়দরাবাদ, ২৩ ডিসেম্বর : তেলেঙ্গানার দুই প্রধান বিরোধী নেতা – ভারত রাষ্ট্র সমিতি প্রধান কেচি অন্ধ্রশেখর রাও এবং তার পুত্র, দলের কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাও – এর বিরুদ্ধে পুলিশ নোটিস পাঠানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা বান্দি সঞ্জয় কুমার।

বিএসপি নেতাদের বিরুদ্ধে অবৈধ ফোন ট্যাপিং এবং ফর্মুলা-ই রেস স্ক্যামসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা সরকারের উদ্দেশ্য ও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “কংগ্রেস সরকার তদন্তে যে আগ্রহী নয়, তা স্পষ্ট।”

বান্দি সঞ্জয় কুমার অভিযোগ করেন, “বিআরএস নেতারা এতটা অধঃপতিত যে, তারা নিজেদের সন্তানদের এবং জামাইদের ফোন ট্যাপ করেছে, যা বহু পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করেছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, বিআরএস নেতৃত্ব বিশেষ গোয়েন্দা ব্যুরো-কে “রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইল এবং অবৈধ উৎকোচ আদায়ের জন্য ব্যবহার করছে, যা এক সময় দেশের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।”

বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, “ফোন ট্যাপিং কাণ্ডটি যেন এক দীর্ঘ টিভি সিরিয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেসব পর্ব এই কেস শুরুর সময় প্রচারিত হয়েছিল, সেগুলি এখন শেষ, কিন্তু এই তদন্ত এখনও প্রলম্বিত হয়ে চলেছে, কোনো ফলাফল ছাড়াই।”

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “এসআইটি কি সত্যিকারভাবে অপরাধীদের বিচার করবে, না কি কেবল নোটিস ইস্যু করে হাত ধুয়ে ফেলবে?”

বান্দি সঞ্জয় কুমার দাবি করেন, রাজ্য সরকারকে এসআইটি-র উপর চাপ সৃষ্টি বন্ধ করতে হবে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাদের স্বাধীনতা দিতে হবে, যাতে তারা ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, “এই তদন্ত শুধুমাত্র রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণের বিষয় নয়, বরং অর্থনৈতিক উৎকোচ আদায়ের দিকে নজর দিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু উচ্চ প্রোফাইল ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ফোন ট্যাপ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করা হয়েছে।”

এদিকে, নতুন গঠিত নয়-সদস্যবিশিষ্ট এসআইটি, যার নেতৃত্বে আছেন ভি সজ্জানার, তাদের তদন্তকে আরও তীব্র করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশিষ্ট আমলা সোমেশ কুমার এবং অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য গ্রহণের পর তদন্ত আরও গভীর হয়েছে বলে সূত্র জানাচ্ছে।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আসন্ন জানুয়ারির বিধানসভা অধিবেশন শেষ হওয়ার পর, বিএসপি শীর্ষ নেতাদের নোটিস প্রদান করা হতে পারে।

বান্দি সঞ্জয় কুমার বলেন, “ফোন ট্যাপিংয়ের ষড়যন্ত্রের প্রকৃত চেহারা জনসাধারণের সামনে আনা উচিত। আমরা একটি প্রতীকী তদন্ত চাই না, সম্পূর্ণ তদন্ত চাই।”

Leave a Reply