আগরতলা, ২২ ডিসেম্বর: তিনদফা দাবিতে আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি সংগঠন ‘ত্রিপুরা গেরিলা রিটার্নড ডিমান্ড কমিটি’-র ডাকে রবিবার গভীর রাত থেকে আসাম–আগরতলা জাতীয় সড়কে অবরোধে বসে। অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এরফলে বড়মুড়া এলাকায় পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ বহু যানবাহন দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের তিন দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হল ২৩ কোটি টাকার বিস্তৃত পুনর্বাসন প্রকল্প অবিলম্বে পুনরায় চালু করা এবং মূলস্রোতে ফিরে আসা প্রাক্তন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত মুলতুবি মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
অবরোধে অংশ নেওয়া এক আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি জানান, তাঁরা ১৯৯৮ সালের আগের আত্মসমর্পণকারী, যাঁরা তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূলস্রোতে ফিরে এসেছিলেন। তিনি বলেন, সঠিক পুনর্বাসন ও স্থায়ী বসতির জন্য ২০০৭ সালের ২২ মে ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০০৮ সাল থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত তা কার্যকর ছিল। পরে সরকার পরিবর্তন, তার উপর কোভিড পরিস্থিতির কারণে সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত কোনও আপডেট পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ২২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাকি অর্থ দিয়ে পুনর্বাসন প্রকল্প পুনরায় চালুর দাবি জানাচ্ছি। আমরা বারবার প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েছি, কিন্তু কোনও ফল মেলেনি।
প্রতিবাদকারী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রাবার মিশনের অধীনে তিন বছর ধরে কোনও সমস্যা ছাড়াই প্রকল্প চলেছিল। কিন্তু চলতি বছরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের রাবারের চারা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু চারাগুলি রক্ষার জন্য বেড়া দেওয়ার অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। বহুবার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দাবি পূরণ না হলে জাতীয় সড়ক অবরোধ চলবে, তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এছাড়াও, মূলস্রোতে ফিরে আসা আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত মুলতুবি মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।

