নয়াদিল্লি, ২২ ডিসেম্বর : সোমবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, যখন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান উড়ানের পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফেরত আসতে বাধ্য হয়। মুম্বইগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই-887 (বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর) উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ত্রুটির সম্মুখীন হয় এবং পাইলট দ্রুত জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।
ফ্লাইটটি সকাল ৭টা ৪৭ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। বিমানে ৩৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল, কারণ উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই বিমানে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছিল। জানা গেছে, বিমানের ইঞ্জিন নম্বর ২-এর তেলের চাপ আচমকাই শূন্যে নেমে যায়। তৎক্ষণাৎ পাইলট সতর্কতা অবলম্বন করে বিমানের জরুরি অবতরণের ব্যবস্থা নেন।
এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানান, বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর অনুসরণ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমানটি দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং সমস্ত যাত্রী ও ক্রু সদস্য সুস্থ আছেন। সংস্থাটি এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে এবং বিমানে থাকা যাত্রীদের সহায়তার জন্য গ্রাউন্ড স্টাফদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।
এয়ারলাইন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিমানের প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা চলছে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং টিম পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। দিল্লির গ্রাউন্ড টিম যাত্রীদের সহায়তা করছে এবং তাদের দ্রুত মুম্বই পৌঁছানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, যাত্রী এবং ক্রুদের নিরাপত্তাই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
এদিকে, ২২ ডিসেম্বর রাত প্রায় ১২টার দিকে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে একটি ই-মেইল আসে, যেখানে আমস্টারডাম-হায়দরাবাদগামী কেএলএম এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বোমা থাকার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, বিমানটি নিরাপদে হায়দরাবাদে অবতরণ করে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে যাত্রী ও বিমানের স্ক্রিনিং করা হয়। পুরো পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে এবং কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এই দুটি ঘটনা বিমান চলাচলে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলে ধরেছে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্কতা অবলম্বন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

